মাস্কে দম আটকিয়ে যায়, পুলিশের ভয়ে পকেটে রাখি

আকতারুল ইসলাম আকাশ: ভোলায় এখন পর্যন্তু করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) দ্বারা আক্রান্ত হয়নি কেউ। তবুও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে ও মানুষকে ঘরমুখী করতে একঠোর অবস্থানে রয়েছেন ভোলার প্রসাশন। তবুও চলছে ঢিলেঢালা লকডাউন। সাধারন মানুষ নানা অজুহাতে রাস্তায়, বাজারে ঘোরাঘুরি করছে। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুখে মাস্ক না পড়ে তা পকেটে পকেটে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। পুলিশ দেখলেই পকেট থেকে তাড়াহুড়ো করে মুখে মাস্ক পড়ে দায় সারাচ্ছেন তারা। উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে জনপূর্ণ এলাকা থেকে দৈনন্দিন বাজারগুলো সরিয়ে খোলা মাঠে নিয়ে আসায় মানুষ কিছুটা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে।

গত মঙ্গলবার ভোলা থেকে পটুয়াখালীতে যাওয়া এক দম্পতি আক্রান্ত হন (কোভিড-১৯) দ্বারা। আক্রান্ত হওয়ার পর প্রশাসন ওই দম্পতির শশুড়বাড়ি ও নিজের বাড়িসহ ৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন। তবে এতে ঢিলেঢালা লকডাউন চলছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। প্রধান সড়কে যান চলাচল কম থাকলেও অলিগলিতে হচ্ছে লোকজনের জটলা। বিশেষ করে কাঁচাবাজারে এখন প্রচুর লোকের সমাগম।

এ ব্যাপারে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, মানুষকে ঘরে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে প্রশাসন। এ এলাকায় থেকে এক দম্পতি পটুয়াখালীতে যাওয়ার পর আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকের মধ্যে কোনো সচেতনতা আসেনি। প্রশাসনের গাড়ি দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে সব দোকান বন্ধও করে চলে যাওয়ার পর আবার সেই পুরোনো দৃশ্য।

রাস্তার পাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়ায় অনেক গ্রামের ভিতর ভ্রাম্যমান চা দোকান, তাসখেলা, ক্রিকেট খেলাসহ অনেককেই আড্ডায় মশগুল থাকতে দেখা যায়।

পকেটে মাস্ক নিয়ে ঘুরাঘুরি করা ইলিশা গ্রামের রফিকউল্লাহ বলেন, আমি মুখে মাস্ক পড়ে থাকলে দম (নিঃশ্বাস) আটকিয়ে যায়। তাই মুখে দিয়ে রাখতে পারিনা। পকেটে রাখি। পুলিশ দেখলে মুখে দিয়ে পুলিশের হাত থেকে বাঁচি।

একই গ্রামের আলম পন্ডিত জানান, মাস্ক পড়তে ভালো লাগেনা। তবুও পুলিশের ভয়ে পকেটে পকেটে রাখি। পুলিশ দেখলে মুখে দেই।

এবিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান জানান, সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সাধারন মানুষকে সচেতন এবং ঘরমুখী করতে নানা রকম জনসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে প্রয়োজনে জেল, জরিমানার মতো কঠিন পদক্ষেপ নেয়ায় অনেকে সচেতন হলেও কিছু মানুষ সচেতন হচ্ছেনা।

SHARE