মনপুরার জনপথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন ধর্ষক রনি,ওসি বললেন খুজে পাচ্ছি না

মনপুরা প্রতিনিধিঃ-
ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার পলাতক সৈই ধর্ষক রনি এখনো মনপুরার জনপথে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন অথচ মনপুরা থানার ওসি বলছেন খুজে পাচ্ছি না।

অন্যদিকে ধর্ষক রনি গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে হাতাশা জানিয়েছেন ধর্ষিতার মা। তিনি আরো বলেন ধর্ষক রনির এলাকাই আছে তার বন্ধু সাথে পোগনে ঘুড়েন বলে অভিযোগ করেছেন। শেষে মিনুতি কষ্ঠে বলেন ধর্ষকের বিচারের জন্য আমি স্থানীয় এমপি মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এদিকে ভোলা নিউজে ক্রাইম চোখের গোপন পর্দায় উঠে আসে মনপুরা ধর্ষক রনির মনপুরার জনপথে ঘুড়াঘুড়ি দৃশ্য। ধর্ষক রনি আজ কয়েকদিন যাবত মনপুরায় কিছু দৃশ্য পথে দেখা গেছে।

প্রায় মাস খানিকের কাছাকাছি চলে গেলেও আজও গ্রেপ্তার করতে ব্যার্থ পুলিশ প্রশাসন। সৈই বহিস্কৃত ছাত্রলীগ সভাপতি ধর্ষক রনি কে গ্রেপ্তার না করতে পারায় হতাশা জানিছেন মনপুরার স্থানীয় জনগন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে ভোলা জেলা মনপুরা থানায় ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা রণিকে বহিস্কারের নির্দশনা দেয়ার পর ভোলা জেলা ছাত্রলীগ তাকে বহিস্কার করেছেন। একইসাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধর্ষক রনিকে ধরিয়ে দেওয়ার নিদের্শনাও দেয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম চৌধুরী পাপন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ রিয়াজ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিস্কার আদেশ জারি করা হয়।

উল্ল্যখ,মনপুরা উপজেলার সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনি একই কলেজের ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন । এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রী শুক্রবার রাতে মনপুরা থানায় রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার এজহার ও ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী থেকে জানা যায়, ভিকটিম ও ছাত্রলীগ সভাপতির বাড়ি মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চরযতিন গ্রামে। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করেন। এক বছর আগে ওই ছাত্রীতে প্রেমের প্রস্তাব দেন রাকিব হাসান রনি। এতে রাজি হননি কলেজছাত্রী।

পরে ২০১৮ সালের ৬ জুন কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাকিব। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার কথা বলে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে বলেন রাকিব।সেখানে গেলে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের এ কলেজ সভাপতি।

২ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে রাকিবের বাড়িতে আসতে বলা হয়। বাড়িতে গেলে ওই দিনও ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন রাকিব। সেই সঙ্গে বিয়ে করবে না বলে ছাত্রীকে বাসা থেকে বের করে দেন। ওই সময় ছাত্রী ঘর থেকে বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করেন রাকিব। পরে স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন কলেজছাত্রী।

এ বিষয়ে জানতে মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনিকে মোবাইলে এখনো পাওয়া যায়নি।

মনপুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ফোরকান আলী বলেন, মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের সভাপতি রাকিব হাসান রনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে কলেজছাত্রী। রনিকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছন পুলিশ কিন্তু এখনো খুজে পাচ্ছি না।

এদিকে ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এই আলোচিত মামলাটি নিজেই তদারকি করছেন। ভোলা নিউজের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় পুলিশ সুপার বলেন, মেয়টি অত্যান্ত দরিদ্র, সঠিক আইন সম্মত ন্যায় বিচারই পাবে। মামলাটি ঘটনা ঘটার পর অনেক বিলম্বে হলেও ভিকটিম ন্যায় বিচার পাবে বলেও মনে করেন এ মানবতাবাদী পুলিশ সুপার।

SHARE