‘সময়ক্ষেপণে’ অ্যাটর্নি: খালেদার আইনজীবী

অনলাইন ডেস্ক: ভোলানিউজ.কম,

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা পাঁচ মামলায় হাইকোর্টে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সময়ক্ষেপনের অভিযোগ এনেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের এক আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষের সামনে এই অভিযোগ করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

গত ১৬ মে সাজা হওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রাখে আপিল বিভাগ। কিন্তু বিএনপি নেত্রী মুক্তি পাননি। কারণ, আরও পাঁচটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

কুমিল্লায় বাসে পেট্রল বোমা হামলার ঘটনায় করা দুই মামলা, ১৫ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব দিয়ে তাদরে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে।

২০১৬ সালের শেষ দিকে এবং ২০১৭ সালের নানা সময় এসব মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। কিন্তু পুলিশ তা তামিল করেনি আর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরাও জামিন আবেদন করেননি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া মামলাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এসব মামলার দুটি কুমিল্লায়, দুটি ঢাকায় এবং একটি নড়াইলে চলছে। গ্রেপ্তার দেখানে দুটি মামলার একটির পরবর্তী শুনানি ৭ জুন, দুটি মামলায় ৫ জুলাই। আর জামিন নাচক হওয়া এক মামলায় পরবর্তী শুনানির তরিখ জানা যায়নি।

আলাদা আলাদা আদালতে শুনানি না করে পাঁচ মামলাতেই জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন বিএনপির আইনজীবীরা।

এর মধ্যে দুটি মামলা আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও জে বি এম হাসানের বেঞ্চে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে শুনানির জন্য বেলা দুইটা পর্যন্ত সময় চান। তার আবেদনে পিছিয়েও যায় শুনানি।

এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের দুর্ভাগ্য খালেদা জিয়ার কারাবরণকে দীর্ঘায়িত করার জন্য অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন।’

কুমিল্লায় বাসে পেট্রল বোমা হামলার ঘটনয় করা দুই মামলায় খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলে আশা করেন তার আইনজহীবী।

খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে মামলার শুনানি চলছে তা ২০১৫ সালের হরতালের সময় করা।  তাতে  ৫৬ জন লোক আসামি ছিল, সেখানে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না।’

‘পরর্বতী সময়ে ৭৮ জনের নামে চার্জশিট দেয়া হয়।  খালেদা জিয়াকে ৫১ নম্বর আসামি করা হয়।’

‘সেই মামলায় জামিন শুনানির জন্য আমরা সকাল থেকে বসা ছিলাম। দীর্ঘ তিন দিন পর্যযন্ত চলছে। অ্যার্টনি জেনারেল শুনানিতে আসেন না।’

‘গতকাল ঠিক করা হয়েছিল ওনি আসবেন। আমার জানা মতে, আমাদের বিজ্ঞ অ্যার্টনি জেনারেল সকালে প্রাইভেট প্যাকটিসে। তিনি খবর পাঠালেন দুইটার আগে তিনি আসতে পারবেন না।’

এতদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সময়ক্ষেপণের অভিযোগ এনেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির আইনজীবীরা বিচারে বিঘ্ন ঘটাতে অকারণে নানা আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে এসে সময়ক্ষেপণ করেছেন। এই যু্ক্তি দেখিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করতে উচ্চ আদালতে বক্তব্য রেখেছেন মাহবুবে আলম।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৪মে-২০১৮ইং)

SHARE