ভোলায় সূর্যমুখীর ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বিশেষ প্রতিনিধি-ভোলানিউজ.কম,

ভোলায় এবার সুর্যমুখির ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সুর্যমুখি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সূর্যমুখীর উৎপাদন বিগত সময়ের চেয়েও বেশী বলে জানিয়েছে কৃষকরা। কোনরকম পোকা মাকড়ের আক্রমন না থাকায় এবার দিগুন লাভের আশা করছেন তারা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, বছরের শুরুতে আকস্মিক বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়ার পরেও কৃষকরা থেমে থাকেনি ভোলার কৃষকরা। পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আওতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা কৃষকদের বিনামুল্যে উন্নতমানের হাইসান-৩৩ জাতের বীজ ও প্রশিক্ষন দেয়। সেখান থেকে প্রশিক্ষন পেয়ে সুর্যমুখি চাষাবাদ আগ্রহী হয়ে উঠেন তারা। এরপর বীজ ও পরামর্শ পেয়েই বিস্তীর্ন ফসলের ক্ষেতে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেন। জমিতে সুর্যমুখি রোপন করে সাড়ে তিন মাসের মাথায় ফুল চলে এসেছে। এখন সূর্যমুখী কাটে ফসল ঘরে তুলছেন  কৃষকরা। এ বছর ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
ভোলার দৌলতখানের উত্তর জয়নগর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, ইউসুফ হোসেন ও জসিম উদ্দিন জানান, আমরা প্রশিক্ষন গ্রহনের পর থেকে সূর্যমুখী চাষে জুকে পড়ি। বীজ অনেক ভালো, এ থেকে যে তেল পাওয়া যাচ্ছে তা অনেক ভালো মানের। এর চাষ করে আমরা খুবই লাভবান। মনপ্রতি ২০ কেজি তেল পাওয়া যাচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এ মৌসুমে জেলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, লালমোহন ও চরফ্যাশন  উপজেলায়  ১৪ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখির চাষ করা হয়েছে। সরিষা ও তিলের চেয়ে সুর্য়মুখিতে তেল বেশী পাওয়া যায়। এ বছর সুর্যমুখিতে মনপ্রতি  ১৮ থেকে ২০ কেজী তেল পাওয়া যাচ্ছে  বলে আশীবাদি কৃষকরা।  বাজারে দামও অনেক ভালো।  এ বছর প্রতিকেজি কেজি তেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা দরে।
এছাড়া সুর্যমুখী দিয়ে তেল, খৈল গরুকে খাওয়ানো ও গাছটি জ্বালানি হিসাবে ব্যাবহার করা যাওয়াতে দিন দিন সূর্যমুখী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, এ মৌসুমে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। এভাবে যদি সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহী করে তুলে ভবিষ্যতে আরো প্রসার লাভ করবে।

(আল-আমিন এম তাওহীদ, ২৩মে-২০১৮ইং)

SHARE