বেসামাল লালমোহনের বাজার গুলো,আতংক

ফারহান-উর-রহমান সময় ঃ

১ দিন পরেই শুরু হবে পবিত্র রমজান। তাই করোনা আতঙ্কের মধ্যেও লালমোহন উপজেলা মঙ্গল সিকদার বাজারে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় বিক্রয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা বিক্রেতারা। তরকারি দোকানগুলোতেই ক্রেতাদের ভীড় সবচেয়ে বেশি। করোনা পরিস্থিতি এবং রমজানে পন্যের মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কায় অনেকেই সারা রমজানসহ ঈদের বাজার একসাথে করছেন। এতে করে ভীড় বেশি থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। পুলিশ নিরবে বললে ই চলে। লালমোহনের সকল বাজার গুলোর চিত্রই একই রকম।

মঙ্গল সিকদার বাজারের মুদি দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। কিছু দোকানের সামনে ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য তিন ফুট দুরত্বে সাদা বৃত্ত চিহ্ন দেওয়ার কথা নাই সেই চিহ্ন। দুরত্ব না মানার কারণ জিজ্ঞাসা করলে অনেক ক্রেতা জানান যে দোকনে অনেক ভীড় থাকায় দূর থেকে কোন পন্যের কথা বললে দোকানদার গুরুত্ব দেয় না। তাই কাছে এসে তারা পন্য কিনছে। কয়েকজন বিক্রেতা জানান যে তারা ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে পন্য ক্রয় করতে বিনীত অনুরোধ করেন। বেশিরভাগ ক্রেতাই তাদের অনুরোধ রক্ষা করেন না । কিছু ক্রেতা তাড়াহুড়ো করে পন্য নিতে গিয়ে ভীড় সৃষ্টি করেন

মঙ্গল শিকদার বাজার সংলগ্ন ধলীগৌর নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি পুলিশের ক্যাম্প অথচ তারা নীরবে দেখেই যাচ্ছেন এসব চিত্র।

বিশ্বব্যাপী মহামারী রূপে ছড়িয়ে পরা করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভাইরাস প্রতিরোধের অন্যতম উপায় হিসেবে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশিষ্টজনদের মতে- প্রশাসনের ভয়ে নয়, নিজেদের সুস্থতার স্বার্থে সকলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ না মানলে বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে করোনা ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।

অতএব মঙ্গল শিকদার বাজারের কাঁচা বাজার টা ধলীগৌর নগর হাই স্কুল মাঠে স্থানান্তর করা অত্যন্ত জরুরি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

SHARE