ভোলায় লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবি,৭ দিন পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

 

মনজু ইসলাম। ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ তাসরিফ-২ এর ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড। নিহত মো.মমিন (২৫) দৌলতখান উপজেলার বাসিন্দা। বুধবার (০২ মার্চ) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলী মাছ ঘাট সংলগ্ন মেঘনা নাদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পায় এলাকাবাসী। এসময় তারা ভোলা সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। ভোলা সদর মডেল থানায় উপ-পরিদর্শক (এস আই) কাজল বলেন,মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী তাসরিফ-২ লঞ্চ এর ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় ৭দিন পরে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মনির দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত কয়সর আহমেদ ছেলে।। তার ভাই হুমায়ুন মাঝি ও আজগর মাঝি ঘটনা স্থলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন। এদিকে দৌলতখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, ‌মেঘনায় মাছ ধরার সময় তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে গিয়ে তিন জেলে নিখোঁজ ছিলো তাদের মধ্যে দুই জেলেকে কোস্টগার্ড ফায়ারসার্ভিস ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে উদ্ধারে সক্ষম হই। এর মধ্যে ১ জেলে নিখোঁজ থাকলেও নিখোঁজের ৭ দিন পর আজ ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া তুলাতুলী মাছ ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয়। পরে সদর থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিনি আরও জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার মালিক আবদুর রহমান বাদী হয়ে তাসরিফ-২ লঞ্চের চালক ও শুকানিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ৯ জেলে সহ
মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ৬ জেলেকে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ ছিলেন ৩ জেলে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ২ জেলের ও আজ বুধবার (০২ মার্চ) আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি চরপাতা ইউনিয়নের ৪ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকায়।

SHARE