বোরহানউদ্দিনে প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে কিশোরীর আাত্নহত্যা

 

 

মিলি সিকদার ঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ৯ নং ওয়ার্ডে গত বুধবার এক কলেজ পড়ুয়া ছাএী প্রেমিকের সাথে ঝগরা পর অভিমান করে আাত্নহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার প্রলোচনার কিশোরীর পরিবার বর্গ জয় চন্দ্র দাস ( ২৪) তার বাবা উওম চন্দ্র দাস(৫৫) এবং মাতা বিপুলি রানী দাসকে আসামী করে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করেন যার মামলা নং ( ২২)। অভিযোগ করে মেয়ের মা খালেদা জানায় জয় চন্দ্র দাস( ২৪) দীর্ঘ দিন যাবত নিহা (১৮) কে প্রাইভেট মাস্টার হিসাবে আমাদের বাসায় তাকে পড়াতেন।এখন জয় বাংলাদেশ বীমান বাহিনির এয়ারক্রাফটম্যান হিসেবে চাকরী করেন। কিন্তু এরই মাঝে আমার মেয়ে নিহার সাথে জয় চন্দ্র মধ্যে প্রেম ভালোবাসা এক গভীর তম সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন।আমি এই সব কিছু আস্তে আস্তে টের পাই। তাতে আমি ছেলেকে বলি তুমি আমার মেয়ের সাথে এসব কি করছো।জয় চন্দ্র দাস বলেন কাকি আমি এসব কিছুই করি না, সব ঠিক হয়ে যাবে আপনি দেখেন। আমি বলি তুমি একটা হিন্দু ধর্মের লোক, আর আমরা হলাম মুসলিম এটা কি ভাবে হয়। জয় চন্দ্র দাস বলেন কাকি আমি নিহাকে ভালো বাসি আমি নিহাকে ছাড়া বাচবোনা,নিহাও আমাকে ছাড়া বাঁচবেনা আমি নিহাকে বিবাহ করবো।আমার ধর্ম পরিবর্তন করে আমি নিহাকে বিবাহ করবো।আমি বলি এটা কোন দিন ও সম্ভব না।তার কিছুদিন পরে আমি জয় চন্দ্র দাস এর বাবার কাছে তাদের বাসায় যাই,গিয়ে জয় চন্দ্র দাস এর বাবাকে সব কিছু পরিস্কার করে বলি যে, আপনার ছেলে আমার মেয়েকে ডিস্টার্ব করে এবং কি বিবাহ করতে চায় এটা কিভাবে সম্ভব,আপনি একটা কিছু করেন। তারা বাবা বললেন আমি সেই ছেলে জন্ম দেই নি যে আমি হিন্দু ধর্মের লোক হয়ে আপনার মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করতে বলবো।এমন ছেলে আমার না।আপনি যান আমি এটার বিচার করবো।তখন আমি চলে আসি বাসায় এবং আমার মেয়েকে শাসন করি যাতে ভবিষ্যৎ এই ছেলের সাথে মিলা মিশা না হয়।আমি উপায় না পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে আকলিমা পুলিশ এর সাথে পরামর্শ করি এবং জয় চন্দ্র দাস এর নামে একটা মামলা করতে চাই।কিন্তু আমার মান সম্মান এর দিকে লক্ষ করে আমি আর মামলা দেই নাই।
কিন্তু আমার মেয়েকেও আমি বুঝিয়ে উঠতে পারি নি।আমার মেয়েকে জয় চন্দ্র দাস এমন ভাবে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বুঝিয়েছে সে নেহাকে সামনের মাসে ৭ তারিখ বীমান বাহিনি থেকে ছুটি নিয়ে মুসলিম হয়ে বিয়ে করবে। আমি জয় কে বার বার মিনতি করে বারন করার পর ও জয় আমার মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলা চালিয়ে যায়।জয় আমাকে বলে কাকি আপনি কোন চিন্তা করবেন না,আমি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে আপনার মেয়েকে বিবাহ করবো।কিন্তু জয় এখন আর আমার মেয়েকে বিবাহ করতে চায় না, সে বলে আমি এখন চাকুরী করি বাংলাদেশ ✈ বিমান বাহিনীতে, আমার পক্ষে আপনার মেয়েকে বিবাহ করা সম্ভব না। আমার মেয়ে এ কথা শুনে জয় কে ফোন করে, জয় আমার মেয়ের সাথে খুব খারাপ আচার-আচরণ করেন।এতে আমার মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মাজহারুল আমিন বি পি এম বলেন আমরা মামলার ২ নং আসামি কে গ্রেফতার করে ভোলা জেল হাজতে প্রেরন করি।বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে।

SHARE