ভোলায় করোনার ঊর্ধ্বগতিতেও রাস্তায় যানজট

 

 

 

টিপু সুলতান / আরিয়ান আরিফ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভোলায় যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। সরকারি সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর থেকে গত ৩ দিন ভোলা সদর রোডে সবচেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। ৫ মিনিটের পথ যেতে আধা ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগছে।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোলার সড়কে যানজটের এই চিত্র দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।সচেতন নাগরিকরা বলছেন, মূলত কুরবানি ঈদ সামনে রেখে একেবারেই পুরনো চেহারায় ফিরেছে ভোলা। দোকানপাট খুলে দেওয়ার পর থেকেই মানুষ বাইরে বের হতে শুরু করেছে। অনেকেই করোনাকে গুরুত্ব না দিয়ে কেনাকাটা করতে বাজার ও মার্কেটগুলোতে ভীড় বাড়াচ্ছে।তবে পুলিশ বলছে, ভোলা শহরের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে কড়াকড়ি আরোপের কারণে যানবাহনগুলো বাধা পাচ্ছে। আর এতেই দেখা দিয়েছে যানজট।

এদিকে, ভোলা জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে।করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনের গৃহীত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।মানুষ কোন কিছুর পরোয়া করছে না।মঙ্গলবারও চিকিৎসক, নার্স, ব্যাংক কর্মকর্তা ও এলজিইডি’র কর্মচারীসহ ভোলায় নতুন করে আরো ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪৫ জনে ও মৃত্যু ৪ জনে। এদের মধ্যে ১৪১ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ্য হয়েছেন। সোমবার রাতে ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় করোনা আক্রান্ত ৩৪৫ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৪১ জন। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ১৫৫ জনের মধ্যে সুস্থ ৬০ জন। দৌলতখানে আক্রান্ত ২৭ জনের মধ্যে সুস্থ ৮ জন। বোরহানউদ্দিনে আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে সুস্থ ২১ জন, তজুমদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ২১ জনের মধ্যে সুস্থ ৩ জন, লালমোহনে আক্রান্ত ৩৮ জনের মধ্যে সুস্থ ১৭ জন, চরফ্যাশনে আক্রান্ত ৪৩ জনের মধ্যে সুস্থ ২৩ এবং মনপুরা উপজেলায় আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে সুস্থ ৯ জন।এদিকে আক্রান্তরা নিজ নিজ উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্বাবধানে আইসোলেশনে আছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হয়ে ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশনে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে উপসর্গ নিয়ে আরো অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, এ পর্যন্ত ভোলা জেলায় ৩৮৪৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা ও বরিশাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রির্পোট এসেছে ৩৫৮৭ জনের। এছাড়া ২৫৮ জনের রির্পোট এখনো অপেক্ষমান আছে।

অপরদিকে নতুন করে আরো ৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৫০৫৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হলো। এর মধ্যে ৪৭৩৬ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে আছে ৩১৯ জন। আইসোলেশনে আছে ১৪ জন।

SHARE