চৌকিদারের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা পাড়ি

 

আকতারুল ইসলাম আকাশ,

ভোলা: নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে করোনা ভাইরাসের চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ভোলার ইলিশা ঘাটে জড়ো হচ্ছে শতশত পোশাক শ্রমিক। তবে পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের বাঁধার মুখে পড়ে সন্ধ্যা পর্যন্তু ঘাটে অবস্থান করেন শ্রমিকরা।

তবে একটি গোপন সংবাদ জানায় সন্ধ্যা পর্যন্তু শ্রমিকরা ঘাটে অবস্থানের মধ্যে রয়েছে রহস্য। একদল অতিরিক্ত অর্থলোভী ট্রলার চালক সন্ধ্যা পর্যন্তু যাত্রীদেরকে ঘাটে বসিয়ে রেখে আঁধার নেমে আসলেই ঘাট থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ট্রলার দিয়ে এই বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে পারাপার করছে যাত্রীদেরকে। আর যাত্রীরাও তাদের চাকরি বাঁচাতে বেতন ভাতা পেতে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই ট্রলার দিয়ে মেঘনা পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছার চেষ্টা করছেন।

আর এসব ট্রলারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কালু মাঝি ও বিল্লাল চৌকিদারের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘাটের এক হোটেল ব্যবসায়ি জানান, ইলিশা ফেরিঘাট সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ি মুছা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্তু তার হোটেলই বসিয়ে রাখেন যাত্রীদেরকে। আর সন্ধ্যা হলেই কালু মাঝি ও বিল্লাল চৌকিদারের সাহায্য যাত্রীদেরকে ঘাট থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নিয়ে ট্রলার ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরির ঘাটের উদ্দেশ্যে।

ব্যবসায়ি আরও জানান, যাত্রী প্রতি ৮’শ টাকা থেকে ১২’শ টাকা পর্যন্তু নিয়ে থাকেন অতিরিক্ত অর্থলোভী এই ট্রলার মালিকরা।

গোপন সংবাদে আরও জানা যায়, ইলিশা তেয়ামাথা ঘাট থেকে হারুন রুবেল বিল্লাল হিরন এদের আশ্রয়ে স্পিডবোট দিয়ে রাতের আঁধারে মেঘনা পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন বহু যাত্রী।

ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রতন কুমার শীল জানান, শুক্রবার ভোরে একটি মাছ ধরার ট্রলারে করে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মজুচৌধুরির ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় ট্রলারটি। পরে সংবাদ পেয়ে ট্রলারটি আটক করা হয়।

SHARE