কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতন করায় ডিসি সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

  • মোঃ ইমরান হুসাইন মুন্নাঃ-
  • কুড়িগ্রামে সদ্য প্রত্যাহার হওয়া জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এডিসি (সহকারী কমিশনার) রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এডিসি এসএম রাহাতুল ইসলাম এবং অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামি করে সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে বাদী করে তার পক্ষে বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে এ অভিযোগ দাখিল করেন।সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মাহফুজার রহমান অভিযোগটি গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব, জেলা সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক শ্যামল ভৌমিক, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলাল বোস, বাংলা ট্রিবিউনের লালমনিরহাট প্রতিনিধি মোয়াজ্জেমসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।বাংলা ট্রিবিউনের সিনিয়র রিপোর্টার নুরুজ্জামান লাবু জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় রিগ্যান নিজে থানায় আসতে পারেননি। এমনকি তার ডান হাতে ব্যথা থাকায় বাম হাত দিয়ে স্বাক্ষর করতে হয়েছে।এ প্রসঙ্গে সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান জানান, যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গত শুক্রবার মধ্যরাতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আনসার সদস্যদের একটি দল শহরের চড়ুয়াপাড়ায় বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের বাড়িতে হানা দেয়। তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে, এরপর মারধর করতে করতে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তার পোশাক খুলে দুই চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এসব ঘটনার নেতৃত্ব দেন ডিসি কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন। এরপর মাদক উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়।এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠলে সাংবাদিক আরিফুলকে জামিন দেওয়া হয়। এরপর ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এডিসি রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।

SHARE