মির্জাগঞ্জে বিধ্বস্ত বেরি বাঁধ, নিহত১, জ্বলোচ্ছাসের শংকা

সোহাগ হোসেন,মির্জাগঞ্জ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল ‘ এর তান্ডবে বিধ্বস্ত পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বেড়িবাঁধসহ বসতঘর। গাছ নিচে চাপা পরে রবিবার সকালে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছে । হামেদ ফকির উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামের মৃত ইয়াসিন ফকিরের ছেলে। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, প্রচন্ড বাতাসে ঘরের ওপর গাছ পরে। ফলে ঘরের নিচে চাপা পরে তার মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে পায়রা নদীতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে । রবিবার ভোর রাত থেকে বাতাসের গতি বেগ বৃদ্ধি পেয়ে মুষল ধারে বৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে পায়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোতের তোপে উপজেলার সুন্দ্রা কালিকাপুর, পিপড়াখালী ও মির্জাগঞ্জ বেরিবাধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও হুমকির মূখে রয়েছে মেন্দিয়াবাদ, চরখালী, কাকড়াবুনিয়া ও ভয়াং সহ কয়েকটি বেরি বাঁধ। বেরি বাঁধগুলো ভেঙে গেলে বানিন্দি হয়ে পরবে ওই সব এলাকার লোকজন এবং প্লাবিত হবে ফসিল জমি। একারনে ব্যাপক ক্ষতি হবে আমন ধানের এমন অভিযোগ স্থানীয় কৃষকদের।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আশানুরুপ ফসল না পাওয়ার সম্ভবনা আছে।

দুপুর ১ টায় জোয়ারের সসময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা থাকায় আতঙ্কে রয়েছে পায়রা পারে বসবাসরত লোকজন। উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের বেরিবাধের বাইরে ও ভেতরের বাসিন্দারা শনিবার সকাল থেকে আশ্রয়ন কেন্দ্রে রয়েছের ।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর আতঙ্কে ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর লক্ষে উপজেলা প্রশাসন ঘূর্নিঝড় সচেতনতা বাড়াতে চালিয়েছে ব্যাপক প্রচারণা। তদারকি করেছে প্রতিটি সাইক্লোন সেল্টারের এবং জনসাধারণের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপজেলার ৪২ টি আশ্রন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া একাধিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সগুলো।
# মোঃ সোহাগ হোসেন মির্জাগঞ্জ,পটুয়াখালী তাং-১০-১১-১৩ ইং মোবাঃ- ০১৭১৯৪৫৭৩৩০

SHARE