এমবিবিএস পাস না করে ভিজিটে রোগী দেখেন আমির, অবশেষে আটক।।

 

ইব্রাহিম আকতার আকাশ: ব্যবস্থাপত্রে বড় বড় ডিগ্রি, এমবিবিএস পাস না করেও সকল রোগের চিকিৎসক। এমনকি করছেন অস্ত্রোপচারও। অথচ তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক।

আরএমপি (রুরাল মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার) কোর্স করেই এমবিবিএস চিকিৎসকের মতোই করছেন জটিল সব রোগের চিকিৎসা। ডিজিটাল ব্যানার ও চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজের নামে ভিজিটিং কার্ড ও প্যাড ছাপিয়ে আইন অমান্য করছেন তিনি।

নামের আগে পদবি লিখছেন ‘ডাক্তার’। তার ভুল চিকিৎসা, মাত্রাতিরিক্ত ওষুধের প্রেসক্রিপশনের কারণে হরহামেশাই মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। ডাক্তার রূপধারী এই পল্লী চিকিৎসকদের ওপর প্রশাসনের নজর বা নিয়ন্ত্রণ কোনোটাই নেই। একারণে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন সেবা নিতে আসা শহর ও গ্রামের অসংখ্য মানুষ।

জানা যায়, আরএমপি, ডিএমএফ ও এলএমএএফ কোর্স করে নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখে রোগী দেখলেও এই পল্লী চিকিৎসক রোগী দেখার আইনগত অনুমোদন বা যোগ্যতা কোনোটাই নেই।

সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান এবং জটিল-স্পর্শকাতর রোগীদের বিশেষায়িত সরকারি  হাসপাতাল বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে প্রেরণের নিয়ম। অথচ তিনি করছেন ঠিক এর উল্টো। চিকিৎসার নামে সাধারণ-জটিল সকল রোগের অপচিকিৎসা দিয়ে চলেছেন তিনি। অসহায় রোগীদের তিনি ব্যবহার করছেন ‘গিনিপিগের’ মতো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকার চৌমুহনী বাজারে স্কাই ফার্মা নামে একটি ফার্মেসিতে ৩০০ টাকা ভিজিটে রোগী দেখতেন পল্লী চিকিৎসক আমির হোসেন। এই অপরাধে তিনি একাধিকবার আটকও হয়েছিলেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় রাশেদা বেগম নামের এক রোগীকে ভিজিটের জন্য বেধড়ক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা জোড়ো হয়ে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমির হোসেনকে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, কথিত ওই চিকিৎসক একজন ভুয়া ডাক্তার। তাঁর এমবিবিএস পাস নেই। এর পরও বেআইনিভাবে তিনি নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি জানান, ঘটনাটি খতিয়ে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE