প্রধান শিক্ষক পদে জ্যেষ্ঠতার তালিকা নিয়ে রুল।।

ডেস্ক রিপোর্ট।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুতের বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।সোমবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এর মহাপরিচালক (ডিজি) সহ ২০ জনকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজস্ব বাজেটের পদে নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫ এর বিধি-৬ ও উক্ত বিধি অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য প্রস্তুতকৃত সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা এবং একই সাথে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা-২০১১ এর বিধি ৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৭ জন সহকারী শিক্ষক মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন।আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজস্ব বাজেটের পদে নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫ এর বিধি-৬ এ বলা আছে নিয়মিতকরণের তারিখ থেকে গণনা করা হবে এবং ওই বিধি অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য প্রস্তুতকৃত সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
ওই তালিকায় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগকৃতদের সরাসরি নিয়োগকৃতদের পরে রাখা হয়। কিন্তু ওই ৪৭ জন সহকারী শিক্ষক ২০০৩ সালে প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৫ সালে রাজস্ব খাতে নিয়োগ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে তাদের চাকরি নিয়মিতকরণ করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য প্রস্তুতকৃত সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুতকালে উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নিয়োগকৃতদের সরাসরি নিয়োগকৃতদের পরে রাখা হয় যাহা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ২৯ ও ৩১ এর সাথে লঙ্ঘন।অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের পদ থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মকর্তা (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা, ২০১১ এর অনুসারে পদোন্নতির প্রদান করা হয় কিন্তু ওই বিধিমালার বিধি ৪ এ উন্নয়ন প্রকল্প হতে রাজস্বখাতে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকের সম্মিলিত গ্রেডেশন তালিকা প্রস্তুত করার বিষয়ে সুনিদিষ্ট কোনো বিধান নেই। যার পরিপ্রেক্ষিতে ওই বিধির বিধি-৪ও চ্যালেঞ্জ করা হয় এই রিট পিটিশনে।
রিট পিশিনারগণ হলেন— রাঙ্গামাটি জেলার সুই সাই পাংখুয়া, হিরা চাকমা, উপমা চাকমা, সংগিতা চাকমা, আলপনা চাকমা, মাহবুব আলম শিকদার সহ ৪৭ জন।

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE