ভোলায় স্বাস্থ্য বিভাগের তামাশা, সদর হাসপাতালে ১২.৩০মিনিট কর্মস্থলে নেই গাইনি ডাক্তার সুরাইয়া।।

সদর প্রতিনিধি।।এভাবেই চলছে ভোলা সদর হাসপাতাল কখনো ডাক্তার নেই কখনো নার্স নেই। ডাক্তার নার্স থাকলেও আন্তরিকতার অভাবে মিলছে না রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা। দুপুর ১টার পর থেকে বহির বিভাগের কাউন্টার বন্ধ। এমনকি বন্ধ হয়ে যায় রোগ নির্ণয় বিভাগের সকল প্যাথলজিক্যালক টেস্ট। ডাক্তার নার্স এবং কর্তব্যরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ব্যস্ত হয়ে যায়, রোগীদের টেস্ট বাণিজ্য নিয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে। ভোলা সদর হাসপাতালে রোগ নির্ণয় বিভাগের টেস্ট করাতে, যে মূল্য দিতে হয় এর চেয়েও কয়েক গুণ বেশি মূল্য দিতে হয় প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক গুলোতে।। আর কত চলবে রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভোলা নিউজ এর গোপন ক্যামেরা সকাল ১১ টায় থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।। ভোলা নিউজের গোপন ক্যামেরায় উঠে আসে সদর হাসপাতালে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মগুলো।। দুপুর ১২.৩০ মিনিটি কর্মস্থল ত্যাগ করেন ডাক্তার সুরাইয়া।। তিনি কনসালটেন্ট গাইনি বিভাগ ভোলা সদর হাসপাতাল। বেশ কয়েকজন রোগীদের অভিযোগ দুপুর ১২ টার পরেই আর চোখে মিলেনা গাইনি ডাক্তার সুরাইয়াকে। প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে বা তার নিজ বাসায় ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন এবং করছেন টেস্ট বাণিজ্য।। আরো অভিযোগ করেন ডাক্তার সুরাইয়া রোগীদের সাথে আচার-আচরণ ও ব্যবহার ভালো নয়,বিনা প্রয়োজনে সিজার করান এবং হাসপাতালে তেমন কোন সিজার করেন না । রোগীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভোলা নিউজের গোপন ক্যামেরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগকের সেবা পর্যালোচনা করছে এবং ভোলা নিউজের গোপন ক্যামেরায় উঠে এসেছে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতি। গত এক সপ্তাহ তথ্যচিত্র দেখা যায়, গাইনি ডাক্তার সুরাইয়া ১২টা থেকে ১২.৩০ মধ্যেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন।।বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক মনিরুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি ভোলা নিউজকে জানান, আমি রেজিস্টার দেখে আপনাকে জানাচ্ছি,ডাক্তার সুরাইয়া হাসপাতালে থাকার কথা। বিষয়টি আমি দেখছি।।কি হচ্ছে ভোলা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে, সকল যন্ত্রপাতি থাকার পরেও কেন হয় না শতভাগ টেস্ট। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি আসছে বিস্তারিত…… দ্বিতীয় পর্বে

ভোলা নিউজ / টিপু সুলতান

SHARE