ভোলা সদর হাসপাতাল নিজেই যেনো এক রুগী

 

এম. ইমরান হোসাইন।। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল যেন সংকট নিরসনে একেবারেই ব্যর্থ। ধাপে ধাপে বহু সরঞ্জামাদি ও সুবিশাল ভবন হওয়া স্বত্বেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বহু জিনিসের অভাব। কয়েকটি ওয়ার্ড/ইউনিট ঘুরে দেখাযায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ ময়লা রাখার পাত্র। যার ফলে মানুষ এদিক সেদিক আবর্জনা ফেলছে। পুরো হাসপাতাল জুড়ে একটি মাত্র টিউবওয়েল। হাসপাতালের পূর্ব পাশেই খুল্লাম খোলা ভাবে রাখা হয়েছে সকল ময়লা। দূষিত হচ্ছে হাসপাতাল সহ আশপাশের পরিবেশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিশু ওয়ার্ডে বাচ্চাদের গ্যাস প্রদানের জন্য মাত্র একটি মেশিন রয়েছে। যা দ্বারা শিশুদের সঠিকভাবে গ্যাস প্রদান সম্পূর্ণ রূপে ব্যহত হচ্ছে। অনেক সময়ই গ্যাস দিতে গিয়ে শিশুর অভিভাবকদের ঝামেলা করতে দেখা গেছে। খাবারের ব্যাপারে একটি বিরুপ মন্তব্য করেছেন কিছু অসামর্থক মানুষ। তারা জানায়, দুপুরে এক ওয়ার্ডে এবং বিকেলে অন্য ওয়ার্ডে খাবার না দিয়ে সবাই একত্রে দুপুরের খাবার দিলে তাদের খুব উপকার হয়। হাসপাতালের চতুর্দিকে আবর্জনা ও দুর্গন্ধে অস্বাভাবিক সেখানকার পরিবেশ। লক্ষনীয় যে, হাসপাতালের অধিকাংশ বাথরুমই অব্যবহার্য, পরিত্যক্ত ও মানুষের ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। অধিকাংশ বাথরুমেই নেই লাইট, ছিটকিনি কিংবা বসার মতো কোন ব্যবস্থা। যা রোগীদের জন্য মোটেও সহনীয় নয়। তাই রোগীদের বৃহত্তর স্বার্থে সকল সমস্যার সমাধান করে একটি আধুনিক সেবাদান মূলক আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালকে দেখতে চায় ভোলার মানুষ।

SHARE