মনপুরার সড়ক নয় যেনো মরণ ফাঁদ

 

শহিদুল ইসলাম মনপুরা প্রতিনিধি।। ভোলার মনপুরার খাদ্যগুদাম রাস্তা যেন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শতশত মালবাহী ট্রলি(ট্রাক) চালকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করছেন। খাদ্য গুদামের একমাত্র রাস্তাটি র্দীঘর্দিন মেরামত না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবী জানাচ্ছেন(চাউল) বহনকারী ট্রলি(ট্রাক) চালকরা। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, খাদ্যগুদাম রাস্তা ও খাদ্যগুদাম বাউন্ডারির ভিতরের বালু দিয়ে ভরাট করার কাজটি পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ। ২০১৯/২০ অর্থবছরে বরাদ্ধকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ টি পায়। অথচ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অদ্যবদি রাস্তাটি মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। রাস্তাটি সরকারী পুকুরপাড়ের উপর দিয়ে যাওয়ায় পুকুরের পাড়টি ভেঙ্গে যাচ্ছে। পুকুর পাড় ভেঙ্গে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্বভনা রয়েছে। রাস্তাটি মেরামত না হলে খাদ্যগুদামে কোন চাঊল মজুদ করতে পারবেনা খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। ফলে ৪টি ইউনিয়নে সরকারের সুবিধাভুগী হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হবে। খাদ্যগুদামে চাউল বহনকারী ট্রাক চালক(ট্রলি) মোঃ গিয়াসউদ্দিন ও মোঃ আজগর জানান, আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করি। রাস্তাটি মাঝে মাঝে গর্ত হয়ে গেছে। চাউল বোঝাই গাড়ী এইসব গর্তে পড়লে সহজে উঠানো যায়না।এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিঃ কাজের দায়িত্বে থাকা তৈয়বুর রহমান বলেন, রাস্তাটি পুকুর পাড়েরর উপর দিয়ে যাওয়ার কারনে রাস্তা করলেও ভেঙ্গে যাবে। এব্যাপারে মনপুরা খাদ্যগুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসিএলএসডি) অঞ্জন কুমার ডাকুয়া বলেন, খাদ্যগুদাম রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। খাদ্যগুদামে চাউল আনতে খুব সমস্য হচ্ছে। ট্রলি চালকেরা ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত খাদ্যগুদামে চাউল মজুদ করছেন। বর্ষ মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে মালামাল(চাউল) আনতে খুব সমস্যা হবে। আমি এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করেছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠনকেও রাস্তাটি মেরামত করার জন্য চিঠি দিয়েছি। এছাড়াও হাজির হাট বাজারের থানা রোডের মনপুরা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভিন আক্তার (রেবু) বাড়ির সামনে ও হাজির হাট সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পিছনের রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ,এটির নিচের মাটি সরে গেছে যে কোন সময় এটি ভেঙে পড়ে মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

SHARE