ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি জোটের জয়

 

 

টিপু সুলতান।।  ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৩ টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ বিএনপি প্যানেলের ৮ জন এবং সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ প্যানেলের ৫ জন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে একটি ব্যালট পেপারে প্রার্থীর নামের সামনের নির্ধারিত স্থানে ক্রস চিহ্ন দেয়া নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় চূরান্ত ফলাফল ঘোষণা সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত ফলাফলে সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী মোঃ ফরিদুর রহমান ৯৭ ভোট এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বপন কৃষ্ণ দে ৯৬ ভোট পেয়েছেন। বিএনপি প্যানেলের সহ সভাপতির দুইটি পদে দুইটিতেই হাবিবুদদর রহমান বাচ্চু এবং মোঃ ইউসুফ (১), সহসম্পাদকের দুইটি পদের একটিতে মোঃ ইউসুফ (২), অর্থ সম্পাদক পদে মোঃ কাওসার আহম্মেদ, ধর্ম-ক্রীড়া-সংস্কৃতি সম্পাদক পদে মোহাম্মদ তোয়াহা, পাঠাগরা সম্পাদকের দুইটি পদের একটিতে মন্জুরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্যের তিনটি পদের একটিতে সালাউদ্দিন আহমেদ প্রিন্স নির্বাচিত হয়েছেন।
অপর দিকে আওয়ামী লীগ প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক পদে মাহাবুবুল হক লিটু, সহসম্পাদক পদে মওদুদ আলম টুটুল, পাঠাগার সম্পাদক পদে বাবলু হাসান এবং সদস্য পদে মোঃ আবুল কাশেম এবং জান্নাতুল ফেরদাউস জুবলি নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভোলা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০০ ভোটারের মধ্যে ১৯৭ জন ভোট প্রদান করেছেন। এর মধ্যে একজন ভোটার গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যালট পেপারে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে টিকচিহ্ন দেয়ায় প্রাথমিকভাবে ওই একটি ভোট বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু অপর একজন ভোটার প্রার্থীদের নামের সামনে অঙ্কিত নির্ধারিত খালি ঘরে ক্রসচিহ্ন না দিয়ে প্রার্থীর নামের সামনেই ক্রসচিহ্ন দিয়েছেন এবং নির্বাচন কমিশন এই ভোটটি গণনা করেছেন। এই ব্যালটে সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ভোট পেয়েছেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে যখন দেখা গেছে মাত্র এক ভোটের ব্যাবধানে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী হচ্ছেন। তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সমর্থকরা ক্রসচিহ্ন দেয়া ভোটটিও বাতিল করার দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ায় ফোলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়। পরবর্তিতে নির্বাচন কমিশন ভোলা বারের সিনিয়র সদস্যদেরকে নিয়ে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করে ক্রসচিহ্ন দেয়া ভোটটি গণনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর পর সভাপতি পদে বিএনপি প্রার্থী ফরিদুর রহমানকে বিজয়ী করে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

SHARE