মনপুরায় তরুণীকে ধর্ষণের আসামি আটক

 

শহিদুল ইসলাম।। ভোলা মনপুরায় ধর্ষন মামলার আসামী জিপু হাওলাদার ঢাকা গাজীপুর টঙ্গী থেকে আটক। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২:০০ টার দিকে মোবাইল ট্রাকিং করে ওসি মনপুরা তত্ত্বাবধানে এস আই লুৎফুর রহমান এর নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্সের সহোযোগীতায় তাকে আটক করা হয়।উল্লেখ্য,ভোলা মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নে বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে জিপু হাওলাদারের বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত জিপু হাওলাদার (২৭) মনপুরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক গ্রামের এ্যাডভোকেট মোঃআলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। ভুক্তভোগী তানজিনা আক্তার (২৫) একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুলাগাজীর তালুক গ্রামের মফিজুল ইসলাম কেরানীর মেয়ে।এবিষয়ে ভুক্তভোগী তানজিনা আক্তার জানায়,জিপু হাওলাদার আমার আত্মীয়-স্বজন। গত ছয় সাত বছর পূর্বে জিপু হাওলাদারের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর থেকে তার সাথে আমার মোবাইলের ফোনেও সরাসরি কথা হতো। দীর্ঘ সময় প্রেম চলাকালে আমরা বিভিন্ন স্থানে দেখা করি। জিপু হাওলাদার বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনার জন্য বলি।এক সময় জিপু আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক ভাবে মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হই নাই। তারপর আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি জিপুর বড় ভাই রুবেল হাওলাদার এর সাথে কথাবার্তা হয়। তখন জিপুর বড় ভাই রুবেল হাওলাদার আমাকে তার ছোট ভাইয়ের সাথে বিয়ে দিবে মর্মে বিভিন্নভাবে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং বিষয়টি নিয়ে আমাদের পারিবারিক ভাবে কথা বলবে বলে কথা দেয়।এরপর থেকে জিপু হাওলাদার আমাকে বিয়ের কথা বলে এবং আমিও তাকে স্বামী হিসেবে বিশ্বাস করতে থাকি। অতঃপর আমার সরলতা ও বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে জিপু হাওলাদার তাহার অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাকে শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। আমি সরল বিশ্বাসে ও তাকে স্বামী হিসেবে বিশ্বাস করে তার কথা মতো সম্পর্ক চলাকালে প্রায়ই আমার ভাইয়ের বাসায় সংগোপনে দেখা করতাম এবং আমাদের মধ্যে শারীরিক ভাবে একাধিক বার মেলামেশা হয়। এক পর্যায়ে প্রায় দু তিন মাস যাবৎ আমি জিপু কে বিয়ের কথা বলি সে একই ভাবে আমাকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। সর্বশেষ ঘটনার দিন ০৪/৮/২০২১ ইং তারিখে জিপু মোবাইলে আমাকে পুনরায় দেখা করতে বলে আমি দেখা করব না বললে সে বিয়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলবে বলে আমাকে জানালে আমি তার সাথে দেখা করার জন্য রাজি হই এবং একই তারিখ ০৯:২০ মিঃ আমার ভাইয়ের বাসায় দেখা করি।তার সাথে বিয়ের বিষয়ে কথাবার্তা বলার সময় এক পর্যায়ে সে পূর্বের ন্যায় শারীরিক ভাবে মেলামেশা জন্য প্রস্তাব দেয় আমি রাজি না হওয়াতে সে আমাকে বিয়ে করার কথা সহ বিভিন্ন কৌশলে রাজি করতে চাইলে আমি বারবার রাজি না হইলে জিপু একপর্যায়ে আমাকে দুর্বল করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ধর্ষণ করে চলে যায়। তারপর থেকে জিপুর সাথে মোবাইলে ও সরাসরি কথা বলতে চাইলে সে আমার সাথে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। তার বড় ভাই রুবেলের সাথে কথা বলতে চাইলে সেও তালবাহানা করতে থাকে একপর্যায়ে রুবেল হাওলাদার তার ভাইর সাথে আমাকে বিয়ে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয় এবং জিপুকে মনপুরা থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।তানজিনা আক্তার আরো জানায়,পারিবারিক ভাবে আমি কোন সমাধান না পেয়ে মনপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করি।এবিষয়ে অভিযুক্ত জিপু হাওলাদার ও তার ভাই রাসেল হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার সত্যতা শিকার করেন। এবিষয়ে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মোঃসাঈদ আহম্মেদ এর কাছে জানার জন্য ফোন করলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে আটকের বিষয়টি মনপুরা থানার এস আই লুৎফুর রহমান নিশ্চিত করেন।

SHARE