মায়ার পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায় সেলিম

 

 

 

নুরউদ্দিন আল মাসুদঃবাস্তব জীবনের আলোকে ভোলা নিউজের সকল পাঠকের জন্য মোঃসেলিমের বাস্তব জিবনের কিছু কথা তার নিজ মুখে পেশ করা হলো।”আমি মোঃ সেলিম।ইলিশার ৫ নং ওয়ার্ড থেকেই আমি ছোট বেলা বড় হয়েছি।আমার বয়স ৪২ বছর কিন্তু মানুষ আমাকে দেখলে বলবে আমার বয়স ৮০ এর উপরে।আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন মানুষ।২০ বছর বয়সে আমি বিয়ে করি।তখন আমি চট্রগ্রামে নিজের ব্যবস্যা বানিজ্য করতাম।সারা দিন পরিশ্রম করে দীর্ঘ ১০ বছর সাধনার পরে ঢাকায় ৩ শতাংশ জমি কিনেছিলাম।বাকি ১০টি বছরের মধ্য আমার জীবনে বয়ে গেল কাল বৈশাখী ঝড়।২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসের দিকে রাত্রবেলা ডাকাতরা একটি লোককে মেরে আমার দোকানের সামনে রেখে যায়।সকাল বেলা আমি দোকান খোলার আগেই মানুষজন খুনের খবর চারদিকে ছড়িয়ে দেয়।আমি তখন মৃত লোকটিকে দেখতে যাই।দেখার কিছুক্ষন পরে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়।আমি পুলিশদেরকে একাধিকবার বললেও তারা আমার কথা শোনে নি।আমাকে কারাগারে নিয়ে গেল।আমাকে রিমান্ডে রাখা হল ৭দিন।অনেক আঘাত করলো তারা আমাকে।এইদিকে আমার পরিবারের লোকগুলো অনাহারে মাস তিনেক দিন কাটালো।তিনমাস পর আমি কারাগার থেকে বের হলাম।তখন আমি শারিরিকভাবে খুবই অসুস্থ। আবার মনে কষ্ট খুন না করে ও খুনির আসামী হলাম।মামলার চিন্তায় খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লাম।আল্লাহর অশেষ রহমতে মামলা হতে ২০১৮ সালে মুক্তি পেলাম।কিন্তু একটি খুনের মামলায় আমার জীবনটাকে শেষ করে দিল।চিন্তায় চিন্তায় আমি আরো অসুস্থ হয়ে গেলাম।অসহায় হয়ে যাওয়ায় নিজ স্ত্রী নানা ধরনের কথা বলে ঢাকার জমিটুকু নিজের নামে দলিল করে নিল।অবশেষে আমাকে ঘর থেকে ও বের করে দিল স্ত্রী রাশিদা।এখন আমি অসহায় সেলিম।নিজ স্ত্রী আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলেও বৃদ্ধা মা-বাবা আমাকে ফেলে দেয় নি।তবে বিধাতার কাছে আমার আকুল প্রার্থনা,নারী ও পুলিশ এই দুই জাতিকে আমি ক্ষমা করিনি বিধাতা যেন এদের ক্ষমা না করেন।””আমি বাচতে চাই মানুষের দোয়ায় এবং ভালবাসায়।যদি কেউ পারেন আমার জন্য দোয়া করবেন””।

SHARE