মনপুরায় আহত শিক্ষকের বিরুদ্ধে চেইন চুরি মিথ্যা মামলা,পুলিশ সুপারে হস্তক্ষেপ কামনা

বিপ্লব ভোলা, স্টাফ রিপোর্টার।।

ভোলা জেলা মনপুরা উপজেলায় বহুল আলোচিত শিক্ষক হামলায় সন্ত্রাসী সাফায়ত প্রকৃতি ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তার মাকে বাদী করে মনপুরা থানায় গত ৮জুন ২০২১ আরো একটি মিথ্যা মামলা রুজু করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মনপুরা ভূঁইয়ার হাট সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন।। নিরীহ শিক্ষক হোসেনসহ আরো বলেন, আমি ও আমার পরিবারকে বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সাফায়াতের মাকে শ্লীলতাহানি,নারীকে মারপিট এমনকি চুরির অভিযোগ আনেন করেন যা সম্পূর্ন মিথ্যা। কেননা ওই ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলায় দেখানো হয়েছে দুপুর ২টায় আমি ও আমার পরিবার সন্ত্রাসী শাফায়তে মাকে মারধর করেছি অথচ ওই সময় আমি আহত অবস্থায় হাসপাতলে মৃত্যুশয্যায় যা মেডিকেলের কাগজে প্রমাণ রয়েছে।। তাহলে মনপুরা পুলিশ প্রশাসন কিভাবে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলা রুজু করেন।। আমি পুলিশ সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং ভোলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।।

মূলত ভোলা জেলার মনপুরা থানায় আলোচিত জুমার নামাজ চলাকালীন সময় শিক্ষক হোসেন পরিবারের উপর হয় 11 ই জুন ২০২১।। নিশংস অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন সন্ত্রাসী শাফায়াত সহ তার দোসররা,মনপুরা পুলিশ প্রশাসন কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ভোলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিঃশংস হামলার মামলা রুজু হয়,প্রায় এক মাস পরে গত ৮ জুলাই ২০২১ এবং আসামী আবু সুফিয়ান গ্রেফতার করেন।। মামলা নং ৩/৩৪.

অন্যদিকে ওইদিন ৮ জুলাই ২০২১ আহত শিক্ষক হোসেন এর মামলার বিপরীতে আসামী শাফায়াতের মাকে দিয়ে আরেকটি চুরি ও মারধরসহ শীলতাহানি মামলা রুজু করেন।। মামলার এজাহারে আসামী শাফায়াতের মা অভিযোগ করে বলেন, তাকে শীলতাহানি করেন এবং তার স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যান শিক্ষক হোসেন ও তার পরিবার।। চলমান মামলাটি মনপুরা থানার তদন্ত অফিসার মামুন এফ,এ,আর করেন এবং এসআই মনিরকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।।

এ বিষয়ে মনপুরা থানার অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মামলাটি তদন্ত চলমান রয়েছে।। তদন্ত শেষ হলেই সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাবে এ বিষয়ে।।

সংশ্লিষ্ট মামলাটির বিষয় মনপুরা পুলিশ তদন্ত অফিসার মামুনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে।।

মনপুরা থানার এস.আই মনিরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে মামলা রুজু করার দায়িত্ব হলো অফিসার ইনচার্জ মনপুরা আপনারা ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করুন।।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শাফায়াত ও বিপরীত মামলাটির বাদী তার মাকে বারবার ফুটো ফোনে ফোন করলে, মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় এবং জানাজায় শাফায়ত ও অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন

উল্ল্যখ, বিগত 11 জুন 2021 ইং তারিখে স্থানীয় মনপুরা উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের অলিউল্লাহ মসজিদে শুক্রবার জুমা চলাকালীন সময় সম্পূর্ন পরিকল্পিত ভাবে এই নিঃশংস হামলা চালানো হয় বলে জানাযায়। আহত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ হোসেন ও তার পিতা তাজুল ইসলামকে সাথে সাথে মনপুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।। আহত শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন প্রায় ৩ যাবত ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি।।

জানাযায় পূর্বশত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই এই নৃশংস হামলা চালানো হয়।। ৭ জন আসামির মধ্যে পুরো সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্ব ছিলেন,সন্ত্রাসী শাফায়েত হোসেন। বর্তমানে শাফায়াত ও বাকি আসামী পলাতক রয়েছেন।।।।

সাথে থাকুন……. ভোলা নিউজের

আসছে বিশেষ পর্ব …. সন্ত্রাসী শাফায়াতের প্রতারণার,সকল তথ্য নিয়ে।।

SHARE