স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলার লঞ্চের রুটি বিক্রেতা আলাউদ্দিন এখন ইয়াবা বেচে কোটি পতি বনে গেছেন। এবার খায়েশ জন্মেছে চরশামাইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়র। ভোলায় ইয়াবা ব্যাবসায়ী ও সেবনকারী আলাউদ্দিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ভেদুরিয়া স্পিডবোড ঘাটে ভোট মালিকগণ । দীর্ঘ ১৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে আলাউদ্দিন জবর দখলের মাধ্যমে তার ইচ্ছেমতো স্পিড বোর্ড চালায়। ঘাটের মালিক সমিতির সভাপতি নিজেকে দাবী করে অন্যান্য মালিকদের উপর করছেন স্বেচ্ছাচারিতা। অভিযোগ রয়েছে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে বরিশাল ভেদুরিয়া নৌ রুটটি গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসার ট্রানজিট রুট হিসেবে। এছাড়াও করোনাকালীন সময় মানুষকে জিম্মি করে কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বরিশাল ভোলা রুটের লঞ্চের রুটি বিক্রেতা থেকে ঘাটের লেভার, বর্তমানের মাদক ব্যবসা করে আলাউদ্দিন এখন কোটিপতি।ভেদুরিয়া স্পিডবোট ঘাটের এ ধরনের নানা অভিযোগে ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভেদুরিয়া স্পিডবোড এর মালিক সমিতির সভাপতি পদ পরিবর্তন করে মোসলেউদ্দিনকে সভাপতি করা হয়।এর পর থেকে ঘাট মালিক পক্ষের সম্মতিতে ঘাট ইজারাদারের সঠিক দিকনির্দেশনা সিরিয়াল নীতিমালা করা হয়। এতে সব মালিকরা খুশি হন। তবে আলাউদ্দিন বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টির কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।তার ৫টি বোডের বিপরীতে অবৈধ ভাবে ২৭টি সিরিয়াল খাতায় উত্তোলন করলে মালিক রা কোন ভাবেই মানতে নারাজ।স্পীডবোড ঘাটে নতুন নিয়মে ঠিকঠাক মতোই চলছিলো। কিন্তু গত বুধবার(৩০জুন) বিকেল ৩টার সময় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে আলাউদ্দিন ও তার ম্যানেজার ইয়াবা সেবনকারী রাজিব বিশৃংখলার সৃষ্টি করে। স্পিডবোর্ড এর সিরিয়ালের খাতা লাইনম্যান মনিরের কাজ থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে জবরদখল করে ২৬ টি সিরিয়াল যুক্ত করে । এতে ঘাটে আবারো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বোড মালিক মোসলেউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নতুন করে আরো ২৬টি সিরিয়ালখাতায় উত্তলন করেন।যা সম্পূর্ণ বেআইনি। ক্ষমতার দাপটে এরকমটা করছে আলাউদ্দিন। এত ক্ষমতার উৎস কোথায়। জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশ অমান্য করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালায় আলাউদ্দিন।এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি আলাউদ্দিন। সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী তান্ডব ও ভাঙ্গচুর চালায় আলাউদ্দিন। বর্তমানে তার জিম্মি দশায় মালিকগণ। তারা সন্ত্রাসী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় যেকোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা। বোড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল ডালিম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আলাউদ্দিন ভেদুরিয়া স্পীডবোড মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন সময়ে নামে-বেনামে নামে থাকেন ২৭ টি সিরিয়ালের মালিক।বিভিন্ন সময় বোড মালিকদের সাথে আলাউদ্দিন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।(৩০জুন)বিকেলে যে ঘটনাটা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আলাউদ্দিন করেন।কেননা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায়। জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশক্রমে একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয় ভেদুরিয়া ঘাট।গেলো মাস তিনেক আগে আলাউদ্দিন কে মালিক পক্ষের সম্মতিতে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।বোট লাইনম্যান মনির বলেন, হঠাৎ আলাউদ্দিনের ম্যানেজার রাজিব,তার ভাই হাসান গাজিসহ ২০থেকে ৩০জনের একটা গ্রুপ আমার দোকানে এসে বলে সিরিয়ালের খাতা কোথায়।তাকে জিজ্ঞেস করি খাতা দিয়ে কি করবেন। উত্তরে তারা হুমকি দামকি দিয়ে একপর্যায়ে সিরিয়ালের খাতা নিয়ে যায় রাজিব।এর পর খাতা ছিঁড়ে বাহিরে পিক্ষে মারে রাজিব। এসময় আলাউদ্দিন আমাকে নতুন খাতায় ২৭ টি সিরিয়াল উঠিয়ে ভোলা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ৪ টি বোট ছাড়ে।বোড ছাড়ার সময় আলাউদ্দিন খুব বাঝে ভাবে গালমন্দ করেন এবং তার সিরিয়াল প্রতিদিন বরিশালে যাবে এমন বলে হুমকি দেয়।ঘাটের স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,আলাউদ্দিনের ম্যানেজার রাজিব দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে স্পিডবোডের মাধ্যমে বরিশাল থেকে ভোলায় বিভিন্ন ধরনের মাদক আনার কাজে নিয়োজিত। রাজিব স্থানীয় ভেদুরিয়া ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হারুন গাজীর ছেলে। রাজিব দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এব্যাপারে 01718214899 নাম্বারে আলাউদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভেদুরিয়া স্পীডবোড ঘাটে হামলার ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, আমরা বিষয়টি অপগত রয়েছি। ঘাটে আমাদের পুলিশ রয়েছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নিবো। এদিকে গত দুইদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাউদ্দিন এবং তার আত্মীয়ের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল এ এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।