মিনালকে দেখার পরেও, বলবে পুলিশ খারাপ

 

 

 

সিমা বেগম /  আমাদের সমাজের মানুষের বিবেক এক্কে বারে পঁচে গেছে। যে যা ইচ্ছা তাই করছে তাই বলছে। শিয়াল একটা চিৎকার দিলে বাকি শিয়ালরাও চিৎকার দিয়া উঠে। কিন্তু কেন দেয় তা বাকিরা বলতে পারেনা। তেমনি একজন পুলিশ কে খারাপ বললে দেশের সব মানুষ পুলিশকে খারাপ বলে চিল্লাইতে থাকে। কিন্তু মিনালের মত পুলিশদের দেখেও বলবেনা জাহাজের পাটাতন জ্বলার পরেও জলন্ত পাটাতনের উপর দাড়িয়ে জাহাজের সকল যাত্রীদের উদ্ধার করার পরেও বলবে কেমন খারাপ পুলিশ মিনাল একটা মানুষকেও মরতে দেয়নি। আর মানুষ না মরলে নদীর মাছেরা কি খেয়ে বাচবো। পুলিশ সম্পর্কে আমাদের কেন যেন বিবেকহীন সমোলোচনা না করলে যেন পেটের ভাত হজম হয়না। অতছো ভাই ভাইয়ের সাথে জগড়া করলেও পুলিশের কাছে যায়। সন্তান বাবার সাথে গেঞ্জাম করলেও পুলিশের কাছে যায়। সকল সমস্যায় যেন পুলিশই খোদার পরে উদ্ধার কর্তা তার পরেও নুন্যতম কোন কৃতজ্ঞতা নেই সামান্য সময়ের জন্যেও। অতছো দেখুন আজ ভোলা লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ফেরীতে আগুন লাগলে সেখানে নিজের জীবন বাজিরেখে ফেরির সকলকে আগুন থেকে বাচান মিনাল মাহাজন নামের এক পুলিশই।ভোলা লক্ষ্মীপুর রুটে গতরাতে কলমিলতা নামের একটি চলন্ত ফেরিতে আগুণ লাগে।রাত সাড়ে তিনটার দিকে একটি ককসিট থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।আগুণের খবর শুনে ফায়ারসার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, চেষ্টা করেন আগুণ নিয়ন্ত্রণের।তবে ফায়ারসার্ভিস এর আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন নৌ পুলিশ।আগুণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভোলা নৌ পুলিশের নায়েক মিনাল মাহাজন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে থাকা গাড়ীর ড্রাইভার, হেলপার ও ফেরির স্টাফদের উদ্ধার এবং আগুণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।আগুণের তাপে দেখা যায় মিনাল মাহাজনের চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিনাল মাহাজনের ছবি দিয়ে পোষ্ট করে তার এই সাহসীকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে অনেকে।এদিকে নৌ পুলিশের ওসি সুজন পাল তার নিজের ফেসবুক আইডিতে মিনাল মাহাজনসহ তার স্টাফদের সহ কয়েকটি ছবি পোষ্ট করলে সেখানে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিনসহ অনেকে মন্তব্য করেছেন মিনাল মাহাজন কে পুরুস্কৃত করা হোক।একজন মিনালের মত হোক সকল পুলিশ, এগিয়ে আসুক মানুষের বিপদে এই ভাবে পোষ্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।এ বিষয়ে নৌ পুলিশের নায়েক মিনাল মাহাজন বলেন, আমাদের ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা আগুণের সেখানে যায়, আমরা গিয়ে আগুণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি, আমাদের যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ফায়ারসার্ভিস গিয়েছে, তবে আমার কষ্ট হয়েছে অনেক, তবুও কিছুটা উপকার করতে পেরেছি এতেই ধন্য।

SHARE