দ্বিতীয় দিন ভোলায় ঢিলেঢালা “লকডাউন”

 

মোঃ আরিয়ান আরিফঃ

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া সাত দিনের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সারাদেশের ন্যায় ভোলায়ও ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। এদিকে লকডাউন পালন ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের নজরদাড়ি অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই ভোলার অফিস-আদালতস প্রায় সব কিছুই খোলা থাকায় লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি মানুষের চলাচল। সদর রোডে ও হাট-বাজারে মানুষের চলাচল লক্ষনীয়। লকডাউনে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রাখার সরকারি ঘোষনা থাকলেও ভোলায় আজ অনেক দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। লকডাউনে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখতে অনিহা প্রকাশ করছে।

এ ব্যাপারে সদর রোডের পুস্তক ব্যবসায়ী প্যারাডাইস বুক ডিপোর সত্বাধিকারী মাহবুব মোর্শেদ বাবুল বলেন, লকডাউনে পুস্তক ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রশাসনকেও অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে তদারকি করতে দেখা গেছে।লকডাউনের প্রথম দিনে সোমবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট দেখা গেলেও দ্বিতীয় মঙ্গলবার সেই চেকপোস্ট চোখে পরেনি।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, চেকপোস্ট না থাকলেও পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। আজ সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোহড়া দিচ্ছে।

করোনা রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ।

ভোলার সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ভোলার করোনা ল্যাবে ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরো ৩৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২২২। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ জন।

ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পদ আবুল কালাম বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে যে লকডাউন দেওয়া হয়েছে তা মূলত কার্যকর হচ্ছে না। কারন, লকডাউনে রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, মাইক্রোবাসে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী আনা নেওয়া করা হচ্ছে। শহরে প্রচুর মানুষ চলাচল করছে। অথচ শুধুমাত্র বাস বন্ধ করে কোন লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম বলেন, ভোলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্বাস্থ্য বিভাগ কঠোর হচ্ছে। এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক পরতে আজ সকালে অভিযানে নেমেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট রিদওয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সকালে সদর রোডে অভিযান চালিয়ে মাস্ক পরিধান না করায় ৫ জনকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এ ছাড়া নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটরা অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা মাঠে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।

এ বিষয়ে জনগনকে আরে সচেতন হয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।

SHARE