ভোলার চরফ্যাসনে মামার ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী

 

 

চরফ্যাসন প্রতিনিধি।।ভোলা চরফ্যাসন উপজেলায় ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছেন। এই দিকে ধর্ষক পরিবারের হুমকির কারণে ওই অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীও তার মা আতঙ্কে রয়েছেন। জানা গেছে, চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানা হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওই ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা তার মাকে ছেড়ে অনেক আগেই পেলিয়ে চলে যান। কিশোরীরকে নিয়ে একা ঘরে বসবাস করেন তার মা । কিশোরীর মা অসহায় কোনো রকম না খেয়ে দিনকাল চলে। তার মা তাকে সব সময় দেখে শুনে রাখতো। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, ওই কিশোরীকে প্রায় ৬ মাস আগে একই এলাকার রহুল আমিন এর ছেলে জুয়েল (২৫ ) কিশোরীর বসত বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সে সময় কিশোরীর মা সংসারের অভাব অনটনের কারণে টের পায়নি হটাৎ একদিন মেয়ে অসুস্থ হওয়ার পরে এলাকার লোকজন বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় কিশোরীর মা মেয়েকে থাপ্পড় মেরে ধামাচাপা দেয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, ৬ মাস আগে একদিন সন্ধ্যায় আমাদের প্রতিবেশী রুহুল আমিন এর ছেলে জুয়েল আমার দূর সম্পর্কের মামা লাগে সে একদিন আমাকে ডেকে বলে আমাকে বিয়ে করবে, আমি রাজি হই নাই তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে, আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে ধরে জোর করে ধর্ষণ করে। সে সময় আমি চিৎকারে করতে চাইলে আমার মুখে ওড়না দিয়ে চেপে ধরে বলে কাউকে জানালে আমি তোমাকে মেরে ফেলবে, আমি আর ভয় কাউকে জানানোর সাহস পাইনি এমনকি আমার মাকেও না। ধর্ষণের শিকার কিশোরী আরো জানায়, পরে আমি জুয়েল এর মা আমার নানীকে এ ব্যাপারে জানাইলে সে বলে তুমি একটু পানি পড়া খাও এগুলো আর কাউকে বলোনা। কাউকে বললে তোমাকে আর তোমার মাকে মেরে এলাকা হতে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যপারে কিশোরীর মা জানান, কিছু দিন আগে আমার মেয়ের বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বুঝতে পেরে ওকে জিজ্ঞেসবাদ করলে সে সব আমাকে খুলে বলে। পরে আমি জুয়েলের মাকে বিষয়টা জানালে তিনি বলেন তার ছেলে এসব ধরনের কাজ করতে পারে না। কিশোরীর মা আরো জানায়, ধর্ষক জুয়েলের পিতা মাতা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারপর জুয়েল ও তার মা বাবা, কিশোরী ও তার মাকে বলে এটা নিয়ে বেশি বাড়বাড়ি করলে তোমাদের ভালো হবেনা। তোমরা এলাকা হতে চলে যাও। কিশোরী ও তার মা বলে আমরা ভয়ে বিভিন্ন যায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছি। ওই এলাকার কয়েকজন যুবক জানান, আমাদের এলাকার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে গরীব বলে বিচার পাচ্ছেনা। আমরা বিষয়টি এলাকার মেম্বারের ছেলে সহ স্থানীয় লোকজনকে জানাইছি। তারা গত বৃহস্পতিবার মধ্যে এর মীমাংসা করে দিবে বলে আমাদের আশ্বাস দিয়ে পরে ছেলের বড় ভাই বলে মেয়ের জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে এসলে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার করে দিবো। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট হাজারীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার কাছে গেলে তাকে পাওয়া যায় নাই , তাকে না পাওয়াতে তার ফোনে একাদিক ফোন দিলেও রিসিভ করে নাই। এ ব্যাপারে শশিভূষণ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

SHARE