দক্ষিণ সাকুচিয়ায় চলছে লুডু,ক্যারাম খেলার নামে জুয়া

 

 

মনপুরা প্রতিনিধিঃ-মনপুরা উপজেলায় লুডু, তাস ও ক্যারাম খেলার অন্তরালে চলছে জুয়া। দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে লুডু, তাস ও ক্যারাম খেলার অন্তরালে চলছে প্রকাশ্য জুয়া খেলা। গোপন তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, মনপুরা সহ দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে সকাল হলেই শুরু হয় চায়ের দোকানে,খোলা জায়গায়,রাস্তার পাশে লুডু,তাস,ক্যারাম খেলা। এই লুডু,তাস খেলার অন্তরালে চলে জুয়া। প্রতিবার খেলায় নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ধার্য থাকে যারা বিজয়ী হয় তারা সেই টাকা পায়। জানা যায়, অধিকাংশ দিনমজুর,ছাত্র সারাদিন হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর ২/৩ শত টাকা মজুরি পায় তার অধিকাংশই লুডু,তাস, ক্যারাম খেলে নষ্ট করে এবং বাড়িতে গিয়ে পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাতে ব্যর্থ হয় ফলে পারিবারিক অশান্তি বেড়েই চলেছে। এছাড়া আরো ভয়াবহ আকারে ক্যারামবোর্ডে বাজি খেলা এবং জুয়া চলছে।বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত ক্যারাম খেলে। প্রতি গেইম ১০/২০ টাকা করে ক্যারাম মালিককে দিতে হয়। এর ফাকে অধিকাংশ জায়গায় বাজি ধরা এবং জুয়া খেলা হয়ে থাকে।এভাবে শিক্ষার্থীরা নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে।তাদের ক্যারাম খেলার এবং নেশার টাকা যোগাড় করতে পিতামাতাকে চাপ দেয় এমনকি অশোভন আচরণ করতে তারা দ্বিধাবোধ করেনা।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ বাজার,নতুন বাজার,জনতা বাজার ,কোরালিয়া বাজার,মাঝেরঘাট, ঢালীমার্কেট ও নুরুউদ্দিন মার্কেট সহ বিভিন্ন জায়গায় চলছে নিয়মিত এসব লুডু খেলা,তাস খেলা ও ক্যারামবোর্ড খেলার অন্তরালে জুয়ার আসর। যদি গভীর রাত পর্যন্ত এসব খেলা বন্ধ না করা হয় তাহলে আগামী প্রজন্ম নেশাগ্রস্থ বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়বে বলে সচেতন মহল মনে করেন। দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন এর সচেতন অবিভাবক ও বাজার ব্যাবসায়ীগণ বলেন পুলিশ প্রশাসনের এখনই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। তবে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও অভিভাবকগণ এ বিষয়ে নিরব ভুমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে। এব্যাপারে মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

SHARE