ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মান! রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

 

আমজাদ হোসেনঃভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অন্যের জমিন দখল করতে জোর করে ঘর নির্মান করা হচ্ছে বলে স্থানীয় মোঃ রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে। দখলকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের অাশঙ্কা করা হচ্ছে। উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের টুমচর এলাকার সিকদার বাড়ির মসজিস সংলগ্ন স্থানে এঘটনা ঘটে।অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিরোধীয় কৃষি জমিনে রফিকুল ইসলাম মাটি ফেলে ভিটা তৈরী করে লোকজন নিয়ে কাঠ বাশ দিয়ে টিনের ঘর তুলছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা এমন বিরোধীয় জমিনে জোর করে কেনো ঘর তোলা হচ্ছে এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম আদালতে নিষেধাজ্ঞা অস্বীকার করে জানান, তিনি ৬০/৭০ বছর উক্ত জমিনে দখল রয়েছেন। তিনি আরো জানান, তার জমিটি ১৯৭৩/১৯৭৪ সালে সরকার তাকে বন্দবস্ত দিয়েছেন। সরকার প্রথমে অন্য মৌজায় তাকে বন্দবস্ত দিয়েছিলেন পরে তিনি সেই জায়গা থেকে পরিবর্তন করে ঘটনা স্থলের জায়গার বন্দবস্ত নিয়েছেন। তবে দখলকৃত জমিনের দাগ খতিয়ানের নাম্বার বলতে এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে জমির মালিকানার কোন ধরনের কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
জমির মালিক দাবিকারী নজির হোসেন গংরা জানান, ১৯৭৩/৭৪ সালে সরকার তাদেরকে বন্দোবস্ত দিয়েছেন, এরপর রফিকুল ইসলামের এর লোভ হয় উল্লেখ্যিত জমির উপর। বিষয়টি নিয়ে ২০১৫ সালে স্থানীয় পরিষদের মাধ্যমে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম এর তত্বাবধায়নে, বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ ছালাম মাষ্টার, প্যানেল মোঃ মহসিন খানসহ ৮ জন নির্ধারিত গনমান্য ব্যাক্তিবর্গের দায়িত্বে শালিশ বৈঠক হয়েছে। লিখিত স্বীধ্যান্তও হয়েছে কিন্তু কোন স্বীধ্যান্তই না মেনে নিজের প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন সময় জমিটি দখল করার পায়তারা করেছে রফিকুল ইসলাম। শুধু শালিশ বৈঠকইনা উপজেলা ভূমি অফিসেও বসাবসি হয়েছে, এসিল্যান্ডের রিপোর্টও হয়েছে কিন্তু রফিকুল ইসলামের দস্যুতার কাছে কিছুই কাজে আসছেনা। রিপোর্ট গুলোতে প্রতিয়মান হয়যে, রফিকুল ইসলাম সরকার থেকে যেই বন্দোবস্ত নিয়ে জমি দাবি করছেন সেটা এই বিরোধিয় জমি নয়, সেটা অন্য মৌজায় রয়েছে। শালিশ বৈঠকে কাগজ পত্র যাছাই বাছাইয়ে বিষয়টি স্পস্ট প্রতিয়মান হয়েছে। এর পরও রফিকুল ইসলাম দস্যুতা দেখিয়ে জমিটি দখল করার অপচেষ্টা করছে। নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কাগজপত্রে দেখা গেছে, রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে ২০১৬ সালে জমিটি বিরোধীয় দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করলে মহামান্য আদালত উক্ত জমিনে স্থিতি (নিষেধাজ্ঞা) অবস্থা বজায় রাখার জন্য ১৬/০৫/১৭ ই তারিখে উভয় পক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। আদালতে সেই নিষেধাজ্ঞাকেও বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মোঃ রফিকুল ইসলাম নিজেই লোকজন নিয়ে মাটি কেটে ভিটা বানিয়ে সেই জমিনে কাঠ বাঁশ দিয়ে টিনের ঘর তৈরী করছেন।স্থানীয়া ক্ষোভ করে জানান, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্যরা শালিশ করেছেন, উপজেলা ভূমি অফিসেও বসাবসি হয়েছে, এমনকি আদালতেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেখানে মোঃ রফিকুল ইসলাম সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে বড় ধরনের বিরোধ বা দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করছেন।

SHARE