ভোলায় কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ী নিহতের ঘটনায় দ্রম্যজাল! হত্যা নাকি সাভাবিক মৃত্যু! খুলছেনা রহেস্যজট

———–

আমজাদ হোসেন!
ভোলা সদর উপজেলার কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ি নুরে আলমের মৃত্যু ঘটনায় দেখা দিয়েছে দ্রম্যজাল, নিহতের সময় কাছে থাকা সঙ্গির বিভ্রান্তকর তথ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে আসল রহেস্য। এটা হত্যা নাকি সাভাবিক মৃত্যু তা নিয়ে চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে কাঁচা বাজার ব্যাবসায়ীদের মধ্যে উদ্ভেগ উৎকন্ঠা রয়েছে। জন সাধারনের মধ্যেও ব্যাপক গুঞ্জন ও আলোচনা সমলোচনা চলছে। সন্ধেহের তীর এখন খোকন এবং নুর ভানুর দিকে।
কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় খুলছেনা রহেস্য জট। তাই বেড়িয়ে আসছেনা আসল রহেস্য।
অনুসন্ধানী তথ্য সূত্রে যানাগেছে, ৩-৪ সপ্তাহ পূর্বে অর্থাৎ গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাতে একই বাজারের ব্যাবসায়ী খোকন তার চাচাতো ভাই আমানুল্লাহকে মোবাইল ফোনে কল করে নুরে আলমের দোকানে ফোন নিতে বলে, আমানুল্লাহ তার স্টাফের সহায়তায় নুরে আলমের দোকানে মোবাইল ফোনটি পাঠায়। নুরে আলম আড়তে না থাকায় নুরে আলমের ভাড়াটিয়া হাসিদ মিয়া ফোনটিতে কথা বলে। হাদিস মিয়াকে অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে খোকন পরিচয় দিয়ে বলেছিলেন যে ব্যাবসায়ি “নুরে আলম নতুন বাজারে মাথা ঘুরে পরে গিয়াছে, তাকে হাসপাতাল নেওয়া হয়েছে”। এমন খবর শুনে নুরে আলমের স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে গিয়ে জানতে পারেন যে তারা হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বেই নুরে আলমকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এমকি তরিগরি করে পথিক পরিচয়ে কে বা কাহারা হাসপাতাল থেকে নুরে আলমের লাশ বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি নুরে আলমের স্বজনদের সন্ধেহের সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষন পর তারা জানতে পারে যে নুরে আলমকে মুসলিম পাড়া শিয়ালি বাড়ির জৈনক টুলু মিয়ার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে ৩/৪ জনে ধরাধরি করে অটো বোরাকে চরিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং যারা তাকে হাসপাতালে নিয়েছেন তারাই সুকৌশলে লাশ বাড়িতো পৌছে দিয়েছেন।
নিহত নুরে আলমের বাবা ভাইসহ স্বজনরা জানিয়েছেন, নুরে আলমের সাথে থাকা খোকন তাদেরকে খবর দিয়েছেন যে নুরে আলম নতুর বাজারে অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে কিন্তু নুরে আলমকে বহনকৃত অটো বোরাক ড্রাইভার হরমুজুল হক এর কাছে তারা জানতে পেরেছেন যে ঐ ড্রাইভারই তার অটো বোরাকে চরিয়ে তাদের মুসলিম পাড়াস্থ বাড়িতে টুলু মিয়ার ভাড়াটিয়া নুরভানু বেগমের ঘর থেকে নুরে আলমকে ধরাধরি করে তার অটো বোরাকে চরিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নুরে আলমের স্বজনরা আরো জানায়,
আবার তারাই তরিগরি করে রহেস্যজনক কারনে হাসপাতালের নাদাবি বা অনাপত্তি পত্রে নিজেদেরকে পথিক পরিচয়ে লাশ নিয়ে বাড়ি পৌছে দিয়েছেন। এর পর থেকে উল্লেখ্যিত খোকন এবং নুরভানু পলাতক রয়েছেন।
আমানুল্লাহ জানান, তার কাছে খোকন মোবাইল ফোনে কল করে বলেছেন যে, তার ফোনটি নুরে আলমের দোকানে পাঠাতে তাই তিনি নুরে আলমের দোকানের পাঠিয়েছেন।
নুরে আলমের ভাড়াটিয়া হাদিস মিয়া জানান, আমানুল্লাহের দোকানের ছেলে মোবাইল ফোন এনে নুরে আলমকে খুজলে নুরে আলম দোকানে না থাকায় তিনি ফোনে কথা বলেছেন, ফোনে খোকন তাকে জানিয়েছেন যে, নুরে আলম নতুন বাজারে অসুস্থ হয়ে পরায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ভাড়াটিয়া নুরভানুর বাড়ির মালিক টুলু মিয়া জানান, তাদের বাড়িতে নুরভানু ভাড়া থাকেন, সেই ভাড়াটিয়া বাসায় কয়েকজনসহ নুরে আলম আসলে কোন এক সময় নুরে আলম অসুস্থ হয়ে পরে, এরপর কয়েকজনসহ একই বাড়ির অটো-বোরাক ড্রাইভার তাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত খোকন ও নুরভানু পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সদর হাসপাতাল স্টাফরা জানিয়েছেন, নুরে আলমকে পথিক পরিচয়ে কয়েকজন লোক হাসপাতালে নিয়েছিলেন এবং তারাই পথিক পরিচয়ে নুরে আলমের লাশ নিয়ে গেছেন। অপরিচিত পথিকের কাছে লাশ হস্তান্তর করার নিয়ম বা কতটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ভোলা সদর থানার সাব -ইন্সপেক্টর মোঃ নোমান জানান, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
ভোলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, নিহতের ঘটনাটির বিষয়ে অভিযোগ এবং রহেস্য সন্ধিহান থাকায় বাড়ি থেকে লাশ পূর্ণ্যরায় হাসপাতালে নিয়ে ময়না তদন্ত (পোষ্টমেটাম) করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে পরবর্তিতে অইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

SHARE