মির্জাগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোররা

 

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃপটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোররা। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে তাদের দৌরাত্ম্য।ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে । উপজেলার বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ছোট-বড় গ্রুপে ভাগ হয়ে ,ছিনতাই মারামারি, হয়রানি, মাদকসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। পারিবারিক শিক্ষা, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে কিশোররা বিভিন্নভাবে নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।রাস্তার মোড়ে বা ওলি,গলিতে দেখা মিলে তাদের। ৫-৭ জন এক সাথে দল বেধে চলে।সুযোগ পেলেই ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ও টাকা পয়সা। সামান্য ঘটনা কে কেন্দ্র করে লিপ্ত হয় সংঘর্ষে। সদর থেকে বর্তমানে গ্রাম,গঞ্জে ও পারা মহল্লায় তাদের তৎপরতা বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।  উপজেলার কোর্ট সংলগ্ন এলাকা, সুবিদখালী সরকারি রই মাধ্যমিক বিদ্যালয় সামনে, সুবিদখালী বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ঢালে, সুবিদখালী লঞ্চঘাট, সুবিদখালী তিন রাস্তার মোড়, কলেজ রোড, মির্জাগঞ্জ মাজার মোড়, মির্জাগঞ্জ মাজার ও চর এলাকা, সুলতাবাদ, সিংবাড়িসহ বিভিন্নস্থানে অবস্থান করে তারা।২- ৩ দিন আগে উপজেলার চালিতাবুনিয়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নির্যাতনের শিকার হয় মামা বাড়ি বেড়াতে আসা মাহিম নামে ১০ বছরের এক বালক। সে বলে, ৫/৬ জন পোলাপান আমরে দোকান থেকে দিয়াশলাই আনতে বলে। কি যেন খাওয়াবে। না আনাতে ওরা আমাকে বেদব বলে একটি মাঠে টেনে নিয়ে যায়।তার সবাই মিলে আমাকে চর, খুশি মারতে থাকে।এমনকী কাউকে বললে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। মাহিমের মামা হোসেন সিকদার বলেন, ওদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। মাসখানে হয় আমাদের বাড়ি আসছে। ওইদিন শুনে মাহিমকে ক্যারা মাইরা মাঠে ফেলে রাখছে।অজ্ঞান অবস্থায় ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করাই।ওর কানের পর্দা ফেটে গেছে। পরে লোকজনের মোবাইলে ভিডিও দেখি যে, এলাকার কামাল সিকদারের ছেলে রাজু, হারুন হাওলাদারের ছেলে রাশেদ ও সালামের ছেলে আবুসালেহসহ ৫/৬ মিলে আমার ভাগ্নিনাকে মারধর করছে। ভিডিও করছে আবার শানুর ছেলে মহসিন। ওরা এর আগেও এলাকায় এরকম বহু ঘটনা ঘটাইছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ওসি সাহেব ওদের অভিভাবকদের থানায় ডাকছে। সে বলছে বিষয়টি দেখবে।এছাড়াও মাস ২/৩ আগে উপজেলার ভাজনা কদমতলা এলাকায় মাছের টাকা আনতে গিয়ে ওই এলাকার কিশোরদের হামলার শিকার হয় মাছ বিক্রেতা লাল মিয়া। থানার এক পুলিশের অফিসার জানান, দিনে দিনে ছেলে পান খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বেশিরভাগই স্কুলে পড়ুয়া ছেলেরা।কিছু দিন আগে মাজার এলাকায় সামান্য ঘটনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে সেখানে গেলে সংঘর্ষ হয়নি।ওখান থেকে দুই জনকে ধরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের কাছে হস্তান্তর করি।পরে সব গুলোর গার্জিয়ান এসে ওসি স্যারের কাছে ভবিষতে এরকম করবেনা ওয়াদা করে গেছে। মির্জাগঞ্জ থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, এব্যাপারে আমরা তৎপর আছি। চালিতাবুনিয়া এলাকায় ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশ খুঁজছে।এরকম কোন ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে এ্যাকশনে যাবো।

SHARE