পটুয়াখালীতে সাংবাদিক কাইউমের বাড়ীতে হামলা,পুলিশ বলে নাটক

 

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ডেইলি সান পত্রিকার পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি আব্দুল কাইউম এর গ্রামের বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা কে নাটক বলে সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের সাথে দুরব্যবহার করেছে পুলিশ। এসময় সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকের বড় ভাই ফয়সাল (৩২)পিটিয়ে আহত করে।এমনকি পরিবারের সদস্যদের শাররীক লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পরপর অভিযুক্তদের সহযোগীতায় পুলিশ আবু তালেবকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের এঘটনা ঘটে। এরপূর্বে একই ব্যক্তিদের হাতে সাংবাদিক কাইউমসহ প্রতিবেশিরা হামলা শিকার হয়েছিল।হামলার শিকার ফয়সাল জানায়-চলতি বছরের ২ এপ্রিল তার ছোট ভাই ডেইলী সান পত্রিকার পটুয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক কাইউম এবং সনাতন পরিবারের সদস্যরা হামলা শিকার হয়। ওই হামলার মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত হানিফ,ফারুক,মজিবর,মাহাবুব নাজমুল ও সিদ্দিক গং বুধবার রাতে ফয়সাল ও মামলার বাদী আবুতালেবের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায় হামলাকারীরা ভিকটিমের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধা বাবা-মাকে শাররীক লাঞ্ছিত করে। হামলার পর পুরোন মামলার বাদী আবুতালেবকে তুলে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এসময় সাংবাদিক কাইউম গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়। কিছুক্ষনপর এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে যাবার জন্য কাইউমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে এবং কাইউম পুলিশকে বিস্তারিত জানায়। এসআই শহিদ ঘটনাস্থলে পৌছে কাইউমের বৃদ্ধ বাবা-মার সাথে খারাপ আচরনে লিপ্ত হয়ে বলেন-আপনারা হামলা ও ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছেন। হামলা নয়-নাটক সাজানো কথা নিশ্চিত করেন সাংবাদিক কাইউমের সাথে অশ্লীল আচরন করেন গলাচিপা থানার এসআই শহিদ। মোবাইল রেকর্ডে এমন তথ্য নিশ্চিত করা গেছে। এসময় হামলাকারীরা তুলে নেয়া আবুতালেবকে এআই শহিদের হাতে তুলে দেয়। এসআই শহিদ জানায়-আমি নয়,এসআই মনির আবুতালেবকে গ্রেফতার করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা জানায়-ওই রাতে এসআই শহিদ ও মনির একসাথে ঘটনা এলাকায় আসেন এবং হামলাকারীরা আবুতালেবকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আবুতালেব আটকের বিষয়য়ে পুলিশ জানায়-তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এসআই শহিদ জানায়-তারা হামলার নাটক সাজিয়ে অন্যকে ফাঁসাতে চাইছেন।সাংবাদিক কাইউমের বৃদ্ধ বাবা প্রাক্তন শিক্ষক রেজাউল করিম জানায়-বুধবার রাতে সন্ত্রাসীরা তার ছেলেকে মারধোর করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হামলাকারীদের পক্ষ নিয়ে উল্টো আমাদের শাসিয়ে গেছে। বৃদ্ধ রেজাউল করিম আরো বলেন-এর পূর্বে একই ব্যক্তিরা তার ছোট ছেলে কাইউমকে ব্যাপক মারধোর করেছে। কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার তারা দিনারদিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে গলাচিপা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেনকে জানালে তিনি খোজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

SHARE