ভোলায় আমন ধান কাটার ধুম, ন্যায্য দাম পাওয়ায় কৃষকদের মনে আনন্দ

 

 

আরিয়ান আরিফ

নানা প্রতিকূলতার মাঝেও তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে ভোলার সদর উপজেলার কৃষকদের চোখে-মুখে।তাঁরা ইতিমধ্যেই চলতি রোপা-আমন মৌসুমের ধান গোলায় ভরতে শুরু করেছেন।বিশেষ করে সদর উপজেলার ইলিশা,ধনিয়া,আলীনগর,বাপ্তা,কাচিয়া ও উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান কাটতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভোলা সদর উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে আমন ধান কাটার ধুম লেগেছে। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই চলছে পুরোদমে। মাঠের সোনালী ধান এখন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ফলনে কম হলেও গত বছরের তুলনায় এই বছরে দাম বেশি থাকায় খুশিতে মুগ্ধ কৃষকেরা।আর কৃষাণীরা সেই ধান মাড়াইয়ে বাড়ির উঠনে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার ধানের ফলন কম হলেও ধানের বাজার ঊর্ধ্বমুখি থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন তাঁরা।সবমিলে বাঁধার পাহাড় ডিঙিয়ে ধানেই কৃষকের চোখে-মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের এক প্রান্তিক কৃষক মাকসুদ মিয়া বলেন, অল্প পরিমাণে জমিতে আগাম জাতের ধান ছিল। ধানগুলো পেকে গেলে প্রতিদিন কিছু কিছু করে কেটে নিজেই বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি। যার কারনে তাকে শ্রমিক নিতে হয়নি।উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের কৃষক জসিম মৃধা বলেন, কৃষকদের আনন্দের যেন সীমা নেই কেননা নতুন ধান পাওয়ায় কৃষকের বুকে বল মুখে হাসি।সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চর ইলিশা তালুকদার চর গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটা শুরু হলেও আগাম জাতের বিভিন্ন ধান কার্তিকের মাঝামাঝি সময়ে কাটা শুরু হবে। সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের, সদুর চর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, গত বছরের তুলনায় এই বছর উঁচু জমির ধান ভালো হয়েছে কিন্তু নিচু জমিনের ধান গত মাসের অতিবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েগেছে। আশা করি এই বছর ধানের দাম বেশি আছে এতে আমরা লাভমান হতে পারবো। ভোলা সদর উপজেলার কৃষি অফিসার রিয়াজুল ইসলাম জানান, এ বছর সদর উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া দূর অবস্থা থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণে ফলন নষ্ট হয়েছে। কিন্তু এই বছর কৃষকরা লাভমান হতে পারবে। গত বছরে তুলনায় এই বছর প্রতি মন ধানের দাম ৩৫০-৪০০ টাকা বেশি। তিনি আরো বলেন আগামি ২০ দিনের মধ্যে আমোন ধান কাটা সম্পুর্ন হবে।

SHARE