অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা উপকূলবাসী

 

 

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা পটুয়াখালীর উপকূলে বসবাসকারীরা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা, কখন যেন ভাসিয়ে নিয়ে যায়। জেলার বাউফলে খারখানা নদীর বিরামহীন ভাঙ্গনে কাছিপাড়া ইউনিয়নের অর্ন্তভুক্ত কারখানা,পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর এলাকার নদীর আশেপাশের বসত ঘরবাড়ি ও চাষাবাদের জমি দিনের পর দিন বিলীন হচ্ছে। গিলে খাচ্ছে ভয়াবহ এই নদী।অসহায় হয়ে পড়েছে ঘরবাড়ি, ভিটাহীন শতাধিক পরিবার। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে ভাঙ্গন ভয়াবহ হয়ে উঠে।বাহেরচর লঞ্চ ঘাট ও পশ্চিম-কাছিপাড়া এলাকার গত ৫-৬ মাসের মধ্যে নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে, অর্ধশত বাড়ি ঘর। ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষজন এখন ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। পশ্চিম কাছিপাড়া ও বাহেরচর লঞ্চ ঘাট এলাকায় কারখানা নদীর হিংস্র থাবায় বাহেরচর লঞ্চ ঘাট থেকে দক্ষিন দিকে পশ্চিম কাছিপাড়া,কারখানা লঞ্চ ঘাট পর্যন্ত কয়েকশো হেক্টর আবাদি জমি,বসতবাড়ি, নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। বসত ঘরবাড়ি এখনও অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।বিশেষ করে কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ৩টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবিষ্যতে নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা। কাছিপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ,সেলিম হাওলাদার বলেন,,আমার ১নং ওয়ার্ডের প্রায় ৪০/৫০ টি পরিবার অসহায় ও ভুমিহীন হয়ে পড়েছে।অনেকের ফসিল জমি বিলিন হয়ে গেছে নদীতে আর কিছু জেলে পরিবার দিন কাটাচ্ছে কষ্টে।  অন্যদিকে,পশ্চিম-কাছিপাড়ার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আকন বাড়ি ও খান বাড়ি। ঘটনাস্থলে দেখা যায়,, বাড়িঘরের কোন চিহ্ন নেই। দিনের পর দিন গিলে ফেলেছে ভয়াবহ কারখানা নদীতে। তাই,অসহায় ও ভুমিহীনরা সরকারের কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছে,,যাতে কারখানা ভয়াবহ নদীর তোপের মুখে আর যেন কোন পরিবার নিঃস্ব হয়ে না যায়। এবং বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারি সুবিধার আওতায় আনা হয়।

SHARE