ভোলায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণ মামলার অভিযোগ! স্থানীয়দের ক্ষোভ : আটক ১

 

 

স্টাফ রিপোর্টার
ভোলায় জমিজমাকে কেন্দ্র করে ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলায় মিরাজ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মেদুয়া ৭নং ওয়ার্ডে ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে একই বাড়ির লোকজন, স্থানীয় গন্যমান্য, অর্ধশতাধিক ব্যক্তিবর্গ জানায়, একই বাড়ির আপন ভাই আজিজ হাওলাদারের সাথে কয়েক বছর যাবৎ বারেক হাওলাদারের ২ শতাংশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। বিষয়টি নিয়ে মেম্বারসহ স্থানীয়ভাবে কয়েকবার এবং পরবর্তীতে ইলিশা পুলিশ ফাঁড়িতেও বসাবসি হয়। কিন্তু আজিজ হাওলাদার কোন সিদ্ধান্ত মানেননি। বুধবার বিকালে বিরোধী জমির বাগানে সুপারী পারাকে কেন্দ্র করে দুই ভাই বারেক হাওলাদার ও আজিজ হাওলাদারে পরিবারের মহিলাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ রাতেই প্রায় দুইটার সময় বাড়িতে গিয়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে বারেক হাওলাদারের ছেলে মিরাজকে অজ্ঞাত কারন দেখিয়ে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানায় গিয়ে বারেক হাওলাদারের স্বজনরা জানতে পারে যে, বারেকের ভাইয়ের মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে বারেকের ছেলে মিরাজের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। যাহার নং ৪১, তারিখ ১৮-১১-২০। একই বাড়ির মহিলা ও স্থানীয়রা আরো জানায়, মামলায় ধর্ষণের ঘটনা দেখানো হয়েছে সকাল ১১ টার সময়। অথচ ঐ বাড়িতেই তারা আপন তিন ভাইসহ ৬টি বসত ঘর রয়েছে কিন্তু সারা দিন ধর্ষণ জাতীয় ঘটনা কেউই শুনেন নাই। মামলার বাদি ভিকটিম জানায়, ঘটনার দিন তাকে ঘরে একা পেয়ে মিরাজ জোর করে ধর্ষণ করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জমিজমা নিয়ে আপন চাচা বারেক হাওলাদারের সাথে তাদের দ্বন্দ্বে বিষয়ে তিনি অস্বীকার করেছেন।  রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার সম্পর্কে জানতে পেরে লোকমারফত তিনি খবর নিয়েছেন। তিনি জানতে পেরেছেন যে, জমিজমার ইস্যুতে ঐ দিন বিকালে সুপারি পারাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার ক্ষোভে হয়রানিমূলক ধর্ষণ মামলা করা হয়ছে।
ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, গতকালকে (১৮ নভেম্বর) ভিকটিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পরে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। আমরা রাতেই আসামি মিরাজকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এদিকে জমিজমার দ্বন্দ্বে সুপারি পারাকে কেন্দ্র করে সাজানো মামলায় মিরাজকে আটক করার ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে হয়রানীকারীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

SHARE