মির্জাগঞ্জে ভুতুড়ে সেতু,আতঙ্কে পথচারী

 

 

মোঃ সোহাগ হোসেন ঃ

সেতু, আছে লাইট।নাই শুধু লাইটের লাইন। জ্বলে না আলো। সন্ধ্যা হলেই মনে হয় অন্ধকারছন্ন কোন ভুতেড়ে আঁকড়া । হযর ইয়ার উদ্দীন খলিফা সাহেব( রঃ) নামে এমন এক সেতুর দেখা মিলেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে। সেতুটি উপজেলার শ্রীমন্ত নদী উপর নির্মিত। উপজেলা শহরের সুবিদখালী কলেজ রোড ও পূর্ব পারে মির্জাগঞ্জ সংযোগ করেছে সেতুটি। সেতুর উপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ১২টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। এক যুগ ধরে সেই ১২ টি লাইট পোস্টের সবকয়টি বিকল বিকল হয়ে আছে । ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই পুরো ব্রীজে ভুতুরে পরিবেশ বিরাজ করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কোন বৈদ্যুতিক আলো সরবরাহ না থাকায় সন্ধ্যার অন্ধকার নামার পরই জনসাধারণকে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়। ফলে অন্ধকারের সুযোগে বিভিন্ন অপরাধসহ দূর্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
স্থানীয় গাড়ীচালক সুজন হাওলাদার জানান, সন্ধা হলেই ব্রীজটি ঘন অন্ধকারে পরিণত হয়ে যায় এবং আমাদের গাড়ী চলাচল ও দুই পাড়ের মানুষ পারাপারে বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পরতে হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬-শ, মিটার ৪টি পিলার ১২টি লাইটপোস্ট রয়েছে। মির্জাগঞ্জের বুক চিড়ে অবস্থিত এ ব্রীজ দিয়ে মির্জাগঞ্জ-সুবিদখালী-বেতাগী- পটুয়াখালী মহাসড়কের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে।
দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো সেতুর ১২ টি বৈদ্যুতিক লাইট পুনরায় আলো জ্বালানোর জন্য নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। এই ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণের সংশ্লিষ্ট সকলে উদাসীন।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থীদের পরিবার নিয়ে ঘোরা ফেরার জন্য সেতুটি মনোমুগ্ধকর। কিন্তু সেতুটি অন্ধকার থাকায় তারা নিরাপত্তা হুমকি মনে করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সরোয়ার হোসেন জানান, উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতি দ্রত সময়ের মধ্যে ল্যাম্প পোষ্টের লাইটগুলো সচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।# মোঃ সোহাগ হোসেন

SHARE