নুরউদ্দিন আল মাসুদ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় মাসনিক প্রতিবন্ধী ও তার সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া কন্যা সন্তানের সার্বিক দ্বায়িত্ব নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতৃ পরিচয় না পাওয়া সন্তান এবং প্রতিবন্ধী মায়ের পাশাপাশি তাদেরকে আশ্রয় দেওয়া ব্যক্তির প্রতিও সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।জানা যায়, আনুমানিক ২২/২৩ বছরের পরিচয়হীন এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী কালীগঞ্জ উপজেলার কোলাবাজারে ঘোরাফেরা করতেন। সপ্তাহ খানেক আগে মায়াধরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। চোখ মেলে তাকাতে পারলেও তার ছিলনা কোন নড়াচড়া। রাস্তার পাশে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি তাকে উদ্ধারের জন্য। সেখান থেকে ওই গ্রামের আব্দুর রশিদ, আমজাদ আলীসহ বেশ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার চিকিৎসার ভার কেউ বহন করতে রাজি হননি। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর জানা যায় তিনি গর্ভবতি ছিলেন। বিবেকের তাড়নায় মায়াধরপুর গ্রামের দিনমজুর আমজাদ ছাকিরণ দম্পতি ঐ নারীর দ্বায়িত্ব নেন। নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে সেবা যত্ন শুরু করেন। গত শুক্রবার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিবন্ধী মা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কালীগঞ্জ হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার আফসানা পারভিন জানান, ছোট একটি অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান বের করা হয়েছে। তবে মা ও নবজাতক এখনও সুস্থ আছেন। জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ জানান, আশ্রয় দেওয়া ও সন্তান প্রসবের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি জেলা প্রশাসককে তার সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ কালীগঞ্জ হাসপাতালে যান। গিয়ে সন্তানকে তুলে নেন নিজের কোলে। চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতাও করেন।জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ওই নারীর আশ্রয়দাতা দিনমজুর আমজাদ আলীকেও সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাকে ব্যাটারি চালিত ভ্যানসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিতে কাজ শুরু করেছি।