আলাউদ্দিন হত্যার আলামত নষ্টকারী কে এই শামিম মাষ্টার

 

মনপুরা  প্রতিনিধি ॥
ভোলার মনপুরায় চাঞ্চল্যকর ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট আলাউদ্দিন হত্যাকান্ডের পর প্রতিবেশী শামীম মাষ্টারের নেতৃত্বে এজেন্ট ব্যাংকে থাকা লাখ লাখ টাকা লোপাট করে শ্বশুর, দেবররা। ওই লোপাট হওয়া টাকা দিয়ে নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শামীম মাষ্টারের সহযোগিতায় শ্বশুর ও দেবররা এমন অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনের স্ত্রী শাহনাজ আক্তার রিতু ও সন্তানরা। ডোবা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার হয়েছে সে ডোবাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে।

এদিকে লাখ লাখ টাকার লোপাটের সত্যতা মিলে উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের সদস্য, চার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের শালিসী প্রতিবেদনে।

মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী অভিযোগ করেন, আমার স্বামীর এজেন্ট ব্যাংকে থাকা লাখ লাখ টাকা লোপাট করে ওই টাকা দিয়ে ওরা হত্যাকান্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এমনকি একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বসে লাখ টাকা খরচ করে নিজেদের বাঁচাতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প বানিয়ে তিনজন সাংবাদিক দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। ওরা হত্যার বিচার চায় না, ওরা নিজেদের বাঁচাতে চায়। স্বামী হত্যার মাস খানেক যেতে না যেতেই আটককৃত আসামীদের সাথে লেনদেন শুরু করে শ্বশুর ও দেবররা। ওদের সহযোগিতায় আটককৃত একের পর এক আসামী জামিনে বেরিয়ে আসে। এমনকি হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি যে ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই ডোবাটি আলামত নষ্ট করার জন্য ভরাট করে ফেলে শামীম মাষ্টার। যখন আমি স্বামী হত্যার বিচার চাইতে প্রশাসন সহ সাংবাদিকদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি তখন ওরা (শ্বশুর, দেবরা ও শামমী মাষ্টার) নিজেদের বাঁচাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমনকি আমাকে নিয়ে মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে।

তবে শামীম মাষ্টার, শ্বশুর ও দেবরা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, তারা হত্যা মামলার বিচার চান।

এই ব্যাপারে শালিসদার উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য একেএম শাহজাহান মিয়া, চার ইউপি চেয়ারম্যান যুগান্তরকে জানান, দীর্ঘ তদন্ত করে দেখা গেছে নিহত আলাউদ্দিনের রেখো যাওয়া টাকা-পয়সা তার ভাইরা অনিয়ম করেছে। তদন্তে যা অনিয়ম পাওয়া গেছে সেভাবে শালিসি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

এই ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই অফিসার মোঃ কবির জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত খুনি কারা তা বেরিয়ে আসবে।

SHARE