নিজের টাকা দাবী করায় ভোলার ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জে মামলা

 

 

 

স্টাফ রিপোর্টার।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মোঃ ইব্রাহীম মিয়া ও তার আত্মীয় স্বজনে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলে করিম গাজীর ছেলের কাছে ১ লক্ষ ৪০ হাজার পাওনা টাকা পাবেন।
এর মধ্যে ৬০ হাজার টাকা ফজলে করিম এর ছেলে জাহাঙ্গীর পরিশোধ করেছেন।
বাকি টাকা দেয় দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছেন, এর মধ্যে আলিমাবাদ ও পশ্চিম ইলিশার সিমানার বটতলা বাজারে গত ১৫ দিন পূর্বে ফজলে করিম কে পেয়ে তার কাছে ছেলে জাহাঙ্গীর এর টাকার বিষয়ে জানতে চান ইব্রাহীম মেম্বারের ভাই পরে ফজলে গাজী নিজের মোটরসাইকেল রেখে আসছি বলে, ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এ খবর ইব্রাহীম মেম্বার জানতে পেরে বিষয়টি ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন,আলিমাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শহিদুল ইসলাম কে জানিয়ে মোটরসাইকেলটি পশ্চিম ইলিশার চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন মিয়ার হেফাজতে রাখেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফজলে গাজী মেহেন্দিগঞ্জ থানায় গিয়ে পুলিশের এস আই অনিমাষমহ পশ্চিম ইলিশায় গেলে মোটরসাইকেলটি তাদের মাধ্যমে বুঝ দিয়েছেন এবং টাকার ফয়সালা পুলিশ করে দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা কে পুঁজি করে পূর্ব বিরোধ অনুযারী আলিমাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মাহাবুব মুক্তিযোদ্ধা ফজলে গাজী কে দিয়ে বরিশাল পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করিয়ে ইব্রাহীম মেম্বার কে প্রধান আসামী করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মেহেন্দিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইব্রাহীম মেম্বার বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান, আমার লক্ষ টাকা ক্ষতি হলেও তাদের সাথে বেয়াদবি করবো না কিন্তু আমাদের সাথে জমিজমা নিয়ে আলিমাবাদ বিএনপির নেতা মাহাবুব এর দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে আর এই সুযোগে একদিকে আমাদের টাকা আত্মসাৎ অন্যদিকে মাহাবুব এর স্বার্থ হাসিল করার জন্যই মুক্তিযোদ্ধা ফজলে গাজী কে দিয়ে এমন সাজানো নাটক করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি অনুরোধ করবো ভোলার পুলিশ সুপার ও বরিশাল এর পুলিশ সুপার এবং ভোলা ও বরিশাল জেলার মুক্তিযোদ্ধারা সরজমিনে এসে তদন্ত করুক, এতে আমি যদি দোষী হয় তারা যে শাস্তি দিবে তা মাথা পেতে নিবো।
এদিকে ইব্রাহীম মেম্বারের বিরুদ্ধে এমন সাজানো মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিম ইলিশার সচেতন মহল, তারা অতিবিলম্বে এই মামলার প্রত্যাহার এর দাবী জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ফজলে করিমের বক্তব্যে জানতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

SHARE