ভোলায় গাছে গাছে বিদ্যুতের লাইন, লাইট জ্বলে লো ভোল্টেজে

 

 

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

আইনে না থাকলেও জীবন্ত গাছকে বিদ্যুতের খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চর ছিফলী গ্রামে।খুঁটি ছাড়াই গাছের ওপর দিয়ে একতারে টানা হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। লো- ভোল্টেজে জ্বলেনা লাইট, ঘোরে না ফ্যান। নষ্ট হচ্ছে বাতি, বৈদ্যুতিক পাখা, ফ্রিজ, টিভি, পানির মটর। প্রতি নিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন গ্রাহকরা। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল আসলেও সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন ঐ এলাকার জমাদার বাড়ী, বশির মাষ্টার বাড়ী, ফটিক বাড়ীসহ শতাধিক পরিবার।স্থানীয়রা জানান, কম ভোল্টেজের কারণে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। কোথাও কোথাও তার পুড়ে যাচ্ছে। এ সব কারণে প্রতিমাসে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত পয়সা। বাড়ছে ইলেকট্রিশিয়ান মিস্ত্রি খরচও। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ যেনতেনভাবে চললেও রাতে কোন কাজই আসছে না এ বিদ্যুৎ লাইন। রাতের বেলায় শিক্ষার্থীরা হারিকেন, চার্জার লাইটের আলোয় পড়ালেখা করছে।ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের বিপ্লব বলেন, আমরা এই ব্যাপারে একাধিক বার বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দিয়ে আসছি কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি। আমাদের কয়েকশ পরিবার চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছে। একই অভিযোগ করেন মুসা কালিমুল্লাহ হাওলাদার। তিনি বলেন,আমাদের এই লাইন দ্রুত সংস্কার করে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।একই গ্রামের মোঃ রুস্তম বলেন, এখানে বিদ্যুতের লাইন নিতে আমাদের টাকায় তার, খাম কিনা হয়েছে। লাইন প্রতি ৬-৭ হাজার টাকা করে নিয়েছে বিদ্যুত বিভাগের লোকজন। দিয়েছে একটি করে মিটার। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও বিল দিতে হচ্ছে আমাদের।এ বিষয়ে জানতে, ভোলা ওজোপাডিকো উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে থাকে পাওয়া যায়নি।

SHARE