ভোলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে

 

 

 

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

টানা ৬ দিন পর ভোলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সাজিবান্দি এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের শেষ পর্যায়ে এসে কিছু অংশ দিয়ে পানি ঢুকছে। এতে নতুন করে ফের প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ন জনপদ। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার মানুষ। এদিকে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানি বাহিত নানা রোগ বালাই। তাদের এখন ভোগান্তির শেষ নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিন থেকেই জোয়ারের পানিতে ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সাজিকান্দি গ্রামে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে ৬ দিন ধরে পানিবন্দি ১০ হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড দিন রাত চেষ্টা চালিয়ে বাঁধ মেরামত করলেও সন্ধ্যায় জোয়ারে পানির আঘাতে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১০ মিটার বাঁধ ভেঙ্গে ধ্বসে গেছে। মঙ্গলবার ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়। সকালের দিকে জোয়ারের পানি নেমে গেলেও বেশীরভাগ এলাকা জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে দিনে দুইবার জোয়ারের পানিতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ বালাই। অনেকেই রান্না করতে পারছে না। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
সোনাডগী গ্রামের একাধিক ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে, তাদের কারো পুকুর ও মাছের ঘের মাছ ভেসে গেছে, কারো বা ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ঘর ভীটা। এতে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা।
এদিকে পানিবন্দী এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ২ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামত করতে সক্ষম হবে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান বলেন, বাঁধের ৫০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ, জিও টিউব ও পাইলিং করে বাধ সংস্কার কাজ চলছে, আশা করি ২ দিনের মধ্যে বাধের মেরামতের কাজ শেষ হবে। তখন আর মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না। তিনি বলেন, বন্যা পরিস্তিতি এখন উন্নতির দিকে। জোয়ারের এলেও পানির চাপ অনেক কম।

SHARE