মেঘনার পানিতে ভাসছে ইলিশার মানুষ,বিপযস্ত জনজীবন

 

 

 

নুরউদ্দিন আল মাসুদ।

পানিতে জীবন,পানিতেই মরন এমন চিত্রই ভেসে উঠেছে বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোর ন্যায় দ্বীপ জেলা ভোলার সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের মানুষের জীবনে।

নানা প্রতিকূলতাকে পাড়ি দিয়েই এই ইউনিয়নের মানুষগুলোকে জীবন কাটাতে হয়েছে।কখনো ফনী,কখনো বুলবুল আবার কখনো আম্পানের মতো ভয়াল ঘূর্ণিঝড়কে মানসিক শক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হয়েছে এই অঞ্চলের বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের।

৪-৫ বছর পূর্বে জননেতা তোফায়েল আহমেদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের একান্ত সহযোগীতায় মেঘনার করাল গ্রাস থেকে বেচে যায় হাজার হাজার মানুষের বসতি।কিন্তু আজ সেই গৃহের মানুষগুলোই পানিবন্ধী।মেঘনার পানিতে ভাসছে তারা।

স্থানীয়রা জানায়,গত বৃহস্পতিবার রাতে ইলিশা ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী জায়গা দালালবাজার (সাজী কান্দি) এর ভেরি ছুটে যায়। কতৃপক্ষের ভেরি বাধের অবহেলার জন্য আমাদেরকে পানির মধ্যই,হুমকি নিয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা আরো জানায়,২,৩ ও ৫নং ওয়ার্ডর প্রায় ১৫০০০ মানুষের বসতবাড়ি পানিতে টৌটম্বুর। বিকেলে ও রাতে নদীতে জোয়ার আসলে আমাদের ঘরবাড়ি, উঠোন,মাঠ ঘাট সব তলিয়ে যায়।জোয়ারের সময় আমাদেরকে ঘরের মাচাংয়ে উঠে থাকতে হয় কিংবা দুশ্চিন্তায় পুরো রাত সজাগ থাকতে হয়।

তবে ভেরি বাঁধের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড,ভোলা এর নির্বাহী পোকৌশলী জনাব হাসান উজ জামান জানায়,ইলিশার দাদালবাজারের ভেরিটি ভেঙ্গে গিয়েছে বলে আমরা জানি।তাই ভেরিবাধ নির্মানের জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ভেরি বাঁধ নির্মানে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন এমন প্রশ্নে নির্বাহী প্রকৌশলী জানায়,আমরা কিছু জিও ব্যাগ সেখানে ফেলেছি যা মেঘনার পানিতে সেগুলো নিয়ে গিয়েছে।তবে এখন পানির চাপ আগের চাইতে বেশি হওয়ায় আমরা কাজ করতে পারছি না।পানির পরিমান স্বাভাবিক হলে আমরা তা দ্রুত সংস্করণ করবো।

তিনি আরো জানান,ভেরিবাধের স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজন সিসি ব্লোক।আমরা ইলিশার জন্য সিসি ব্লোকের প্রস্তাব রেখেছি।আশাকরি প্রস্তাবটি পাশ হয়ে গেলে এর একটি স্থায়ী সমাধান হবে।

SHARE