ভোলায় বিপর্যয়,পানি উন্নয়ন বোর্ডের হঠকারিতা

 

 

মনজু ইসলাম/ টিপু সুলতানঃ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হটকারিতায় ভোলায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পূর্ব ইলিশার শাজি কান্দি এলাকা দিয়ে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ডুকতে শুরু করেছে। এভাবে পানি ডুকতে থাকলে ডুবে যাবে ভোলার কয়েকটি ইউনিয়ন। রাতের মধ্যে বেড়িবাঁধ সংস্কার না হলে ভোলা শহরে পানি ডুকে পরার আশংকা দেখা দিয়েছে। যথা সময়ে বেড়িবাঁধ নির্মান না করায় এমন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

লঘুচাপ কারণে ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বহু গ্রাম ,ঘর বাড়ি,মাছের ঘের পানির নিছে তলিয়ে গেছে। ১৯ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থেমে থেমে হালকা ও ভারি বৃষ্টি পাত হচ্ছে। মেঘনা ও তেতুলিয়ার পানি বিপদসীমার ৪.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৫ আগষ্ট যে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিলো তার চেয়েও বেশী সর্বোচ্চ রেকর্ড। যার ফলে সদর উপজেলার ধনিয়া, ইলিশা, রাজাপুর, ভেদুরিয়া, শিবপুর, দৌলতখানের মদনপুর, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বহু গ্রাম তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ফেরি ও লঞ্চ টার্মিনাল। ভোলা থেকে সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ। মনপুরার কলাতলি চর, ঢালচর, চর নিজাম, কুকরি মুকরির চর, কাজীর চর, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল সহ বহু চর চরাঞ্চলের মানুষ পানি বন্ধি আছেন। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৭ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়ি বাঁধ পরিদর্শন করেন ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, এক দিকে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির চাপ। অপরদিকে পূর্ণিমা, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে সাগরে সৃষ্টি নিম্মচাপ, ফলে মেঘনা নদীতে বুধবার বিকালে জোয়ারের পানি বিপদ সীমার প্রায় ৪.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি স্পটে বেড়িবাঁধ  ভেঙ্গে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

SHARE