ভোলায় ডুবোচর, নাই ড্রেজিং, হুমকির মধ্যে রক্ষা বাঁধ

 

টিপু সুলতানঃ

ভোলার মেঘনায় বর্ষা মৌসুমেও মাছ নদীতে ডুবোচর জেগে উঠার কারনে হুমকির মুখে পড়েছে ভোলা রক্ষা বাঁধ। দ্রুত সময়ের মধ্যে মেঘনায়ও পরিকল্পিত ড্রেজিং না হলে গচ্ছা যাবে সরকারের ব্লক বাঁধের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।

এদিকে ডুবোচরের কারণে নৌ চলাচলে মারাত্নক বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। চরের কারনে মাছ শিকার করতে গিয়েও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন জেলেরা। এছাড়াও একই কারণে নদীর গতিপথে পাল্টা স্রোত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে একদিকে যেমন নদী ভাঙ্গনের সম্ভবনা রয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু পয়েন্ট দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।
এ অবস্থায় ডুবোচরগুলোকে কেটে ড্রেজিং করার দাবী ভুক্তভোগীদের। তবে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও ভোলার মেঘনা নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে রয়েছে। বিশেষ করে ধনিয়া, কাচিয়া ও ইলিশা নৌ চ্যানেলে রয়েছে অসংখ্য ডুবোচর। এসব চরের কারনে ব্যাহত হচ্ছে নৌ যান চলাচল। আর এ কারনেই অনেক ক্ষেত্রে জোয়ার-ভাটার উপর নির্ভর করে চলাতে হচ্ছে নৌ যান। কখনো আবার মাঝ নদীতেই আটকে যায় নৌ-যান। শুধু তাই নয়, মাছ শিকারের গিয়েও বিপাকে পড়ছেন জেলেরা।
হালান মাঝি, জাহাঙ্গির, সবুজসহ কয়েকজন জেলে জানান, নদীতে মাছ শিকার করতে গিয়ে নৌকা চরে আটকে যায়, অনেক সময় আবার জাল আটকে ছিড়ে যায়। কোথায় চর রয়েছে আর কোথায় চর নেই সেটা বুঝা যায় না। বেশীরভাগ এলাকায় এ অবস্থা।
কাচিয়া ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, নদীতে ডুবোচরের কারনে নৌ যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বাধও ঝুকির মধ্যে পড়েছে, কারন জাহাজগুলো তীর ঘেষে যাওয়ায় ঢেউয়ে বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কাচিয়া ও ধনিয়া এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, শীত মৌসুমে ডুবোচর থাকলেও এখন বর্ষায়ও সেই ডুবোচর। উজান থেকে পানির সাথে আসা পলি জমে সৃস্টি হয়েছে ডুবোচর । এসব চরের সাথে ঢেউ বারি খেয়ে স্রোতে আঘাত হানছে কূলে। এতে ভোলা শহর রক্ষাবাধের বিভিন্ন জায়গায় ভাংঙ্গনের সৃস্টি হয়েছে । এছাড়াও নৌ পথে ভোগান্তি হচ্ছে। বিশেষ করে নদীর গতিপথ পাল্টে যাওয়ায় স্রোত বেড়েছে। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর তীর, বসতি ও স্থাপনা।
এলাকাবাসী আরো জানায়, নদীর ঢেউ চরে বাধাগ্রস্থ হয়ে পাল্টে গেছে নদীর গতিপথ এতে স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে নদীর কূলে আছড়ে পড়ছে স্রোত। আর তাই ঝুঁকিতে বাঁধের বেশ কিছু পয়েন্ট। তাই নদী ড্রেজিংয়ের দাবী এলাকাবাসীর।

উজান থেকে নেমে আসা পলির কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আব্দুল মান্নান খান বলেন, জেলার সদরের অন্তত ১০ কিলোমিটার পয়েন্টে ডুবোচর রয়েছে। পুরো জেলায় ৩৬ কিলোমিটার এলাকায় ডুবোচর ডেজিংয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে, যা অনুমোদনের অপক্ষোয়। সেটি হলেও এ সমস্যা থাকবে না। এদিকে খুব দ্রুত ডেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবী এলাকাবাসী

SHARE