ভোলায় ভাঙ্গছে নদী কাঁদছে মানুষ

 

 

মনজু ইসলাম ঃ
নদীমাতৃক জেলা ভোলা। ভোলার চারো দিকে নদী হওয়ায় এ জেলার মানুষের দিন কাটে আতঙ্কের মধ্যে। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া কম হয়নি এ জেলায়। নদী বিশিষ্ট এ জেলায় উন্নয়নের সুফলগুলো বেশিরভাগই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এমনটাই দেখা যায় ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে পাশ দিয়েই বহমান তেতুলিয়া নদী। এই তেতুলিয়া নদীর তীরবর্তী ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট হইতে চর চটকিমারা খেয়ার ঘাট পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙনের তান্ডব চলতে থাকে। দ্বীর্ঘ ১৫ বছরের ও বেশি সময় ধরে তেতুলিয়ার ভাঙ্গন তান্ডব অব্যাহত রয়েছে। সংস্কার না হওয়ায়, বড় হচ্ছে তেতুলিয়া নদী। দিন দিন ছোট হয়ে আসছে ভেদুরিয়া এলাকা।ইতিমধ্যে এখানকার অসহায় মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের বসতভিটাসহ আবাদি জমি।বর্তমানে নদীর তীরবর্তী যেসব পরিবার বসবাস করছে তাদের দিন কাটাচ্ছে চরম আতংকের মধ্যে। তেতুলিয়া নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাঙ্গনের ফলে, নদী সংলগ্ন রাস্তা, মসজিদ, বসতবিটা ও ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন এর পথে। অনেক পরিবার নদীগর্ভে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে।

৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান নলী বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গনের ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় বর্তমানে ভেদুরিয়া ইউনিয়ন হুমকির মুখে। আমাদের ভোলার অভিভাবক জননেতা তোফায়েল আহমেদের মাধ্যমে এ জেলার উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। উন্নয়নের সুফল থেকে বাদ পড়েনি ভেদুরিয়া ইউনিয়ন। নেতা আমাদের দিয়েছেন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংকের বাজারে টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি সহ রয়েছে একটি গ্যাস কূপ।,ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে রয়েছে সরকারের পাকা রাস্তা।প্রিয় নেতার ব্যাপক উন্নয়নের ছোঁয়া রয়েছে আমাদের এই ভেদুরিয়ায়। এতো উন্নয়নের সুফল আস্তে আস্তে কেড়ে নিচ্ছে রাক্ষসী তেতুলিয়া। হারিয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ ফসলি জমিসহ বসতভিটা। বর্তমানে তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অসহায় মানুষগুলো সহায় সম্পত্তি হারিয়ে অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। প্রিয় নেতা আপনার কাছে জোর দাবি করে বলছি নেতা আপনি ভেদুরিয়া বাসির আশ্রয়স্থল। আপনি ভেদুরিয়া বাসিকে রাক্ষসী তেতুলিয়ার হাত থেকে রক্ষা করুন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মনির মাস্টার বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে তেঁতুলিয়ার ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অচিরেই বিলীন হবে ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড। বর্তমানে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে হাজারো মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। নদীটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

ভোলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মান্নান খাঁন বলেন,ভেদুরিয়ায় লঞ্চঘাট থেকে চর চটকিমারার খেয়াঘাট পর্যন্ত একটি সার্ভেয়ার টিম সরজমিনে পরিদর্শন করতে যাবে। অনুমোদন পেলে অচিরেই কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই সিনিয়র কর্মকর্তা।

SHARE