।।মোঃআরিয়ান আরিফ।।
‘রাঙ্গা বন নার্সারি’র মালিক মোঃ জামাল হোসেন। ভোলা সদর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগে তার ব্যবসায়িক পুঁজি ছিল তিন লাখ টাকা। নগদ ছিল দেড় লক্ষ টাকা, বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল ও বনজ গাছের চারা ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার। করোনার কারণে ঘুরে ঘুরে চারা বিক্রি করতে পারছেন না। ব্যবসায়িক পুঁজির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অতিবৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে বেশকিছু গাছের চারা। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট সময়ে বিক্রি করতে না পারায় বীজতলায় অনেক চারার বয়স পার হয়ে গেছে। অবশিষ্ট চারাগুলো কম দামে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহের কথা ভাবছেন জামাল। তবুও মিলছে না গ্রাহক। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই নার্সারি উদ্যোক্তারা।
শুধু আলগী গ্রামের জামাল নন, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, ভ্যানচালক ও মৌসুমি চারা বিক্রেতারা খুব কষ্টে আছেন। এভাবে চলতে থাকলে লোকসানের পাশাপাশি পুঁজি সংকটেও পড়তে হবে নার্সারি মালিকদের।
জামাল হোসেন ভোলা নিউজকে জানান, ছোটবেলা থেকেই নার্সারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। অন্যের জমি ইজারা নিয়ে গড়ে তুলেছেন নার্সারি। নার্সারিতে বীজতলা প্রস্তুত ও চারা পরিচর্যা করেন দুজন শ্রমিক। চারাগুলো হাটবাজার ও গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করা হয়। সে আয় দিয়েই কর্মচারীদের বেতন, নার্সারি ও সংসারের খরচ চালাতেন জামাল । মা, স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল তার। করোনার কারণে ঘরের বাইরে যেতে পারছেন না। অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে চারাগুলো। বেতন দিতে না পেরে ছাঁটাই করেছেন শ্রমিকদের।
তিনি বলেন, এভাবে চললে নার্সারি বাদ দিয়ে অন্য ব্যবসায় সম্পৃক্ত হতে হবে। অন্যথায়, জীবিকা নির্বাহ কষ্টকর হয়ে পড়বে।
জেলা শহরের একাধিক নার্সারি মালিকরা ভোলা নিউজকে বলেন, করোনা দুর্যোগে প্রতিদিনই পুঁজি হারাচ্ছেন নার্সারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। তাই নার্সারি মালিকদের প্রণোদনা দেওয়া উচিত। তা না হলে বহু নার্সারির মালিক এ পেশা ছেড়ে দেবেন।