সাবেকের বিদায়, বর্তমান শঙ্কা, হাল ধরেছেন সানাউল হক

 

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

করোনায় মারা গেছেন ভোলার সাবেক জেলা জজ। আবার আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছেন ভোলার বর্তমান জেলা জজ। সাবেক জেলা জজের মৃত্যুতে ভোলার বিচারবিভাগ শোকেরর ছায়া নেমে আসলেও বর্তমান জেলা জজ ডঃ এবিএম মাহমুদুল হক এর জন্য বিচার বিভাগ ও বিচার প্রার্থীরা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সুস্থ্যতার দোয়া করে যাচ্ছেন। এদিকে ভোলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুরক্ষায় রেখে বিচার প্রর্থীদের সেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে নানাবিধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ভালোর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোঃ সানাউল হক। প্রতিদিন তাপমাত্রা মেপে কর্মকর্তা কর্মচারিদের কোর্ট প্রঙ্গনে ঢুকানো এবং আক্রান্ত সন্দেহদের আইসোলেশন নিশ্চিত করছেন একই সাথে হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের নিয়মিত খোজ খবর রেখে ডাক্তারদের সাথে পরামর্শক্রমে চিকিৎসার তদারকি করেন ভোলার এই চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া করোনা উপসর্গ থাকা কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের কাজ স্বাস্থ নিরাপত্তার মধ্যে রেখেই করিয়ে নিচ্ছেন শরীফ মোঃ সানাউল হক। তার এই কার্যক্রমে নিয়মিত সাহযোগিতা করে যাচ্ছেন ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরিদ আলম।

এদিকে গতকাল রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভোলার সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং লালমনিরহাটের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ (৫৫) মারা গেছেন। বুধবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ।

লালমনিরহাট আদালত সূত্র জানায়, বিচারক ফেরদৌস আহমেদ ১ জুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে আসেন। ৪ জুন আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি জানার পরই তাকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা দরকার ছিল তার। তবে তাকে প্লাজমা দেয়া হয়েছে কি-না তা জানা যায়নি।

অপরদিকে করোনা আক্রান্ত ভোলার বর্তমান জেলা ও দায়রা জজ এবিএম মাহমুদুল হককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় ইউনিভার্সেল মেডিকেলের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।

গত রবিবার (২১জুন) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে করে তাকে ভোলা থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। এরপর তাকে ইনিভার্সেল মেডিকেলের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

গত ১২ জুন থেকে করোনাভাইরাসজনিত রোগের লক্ষণে ভুগছিলেন এবং ভোলায় নিজ বাসা থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মাহমুদুল হক। তাকে এক প্রকার জোড় করে ইয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করেন ভোলার বিচার বিভাগের আশির্বাদ শরীফ মোঃ সানাউল হক।

SHARE