স্বাস্থ্যবিধি ভোলায় মানছেন না অনেকেই

 

 

টিপু সুলতান

ভোলায় হুহু করেই বেড়ে চলেছে করোনা রুগীর সংখ্যা। নতুন করে আবার ২০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে নিয়ে ভোলায় মোট আক্রান্তে সংখ্যা দাঁড়ালো ২০৯ জনে।  শারীরিক দূরত্ব না মেনে চলার কারণে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে করছেন ভোলাবাসী। এদিকে করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় জেলার ৪৩টি স্পটকে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। আর তাই যেকোনো সময় ওই সব পয়েন্ট লকডাউন হতে পারে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিভাগ।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, জনসমাগময় ভোলা শহরের চিত্র। , চকবাজার, বাংলাস্কুল মোড়, সদর রোড ও বরিশাল দালানসহ বেশে কিছু পয়েন্টে মানুষের সমাগম। এ চিত্র দেখেই বোঝা যায় এখানে স্বাস্থ্যবিধি কিংবা শারীরিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। দূরত্ব না মেনে একে অপরের সঙ্গে গাদাগাদি করে চলাফেলা করছে মানুষ। ফুটপাত বা বিপনীবিতানগুলোতেও একই অবস্থা। কারো মুখে মাস্ক আছে তো গ্লাভস নেই। কেউ বা এসবের কিছুই ব্যবহার করছেন না।
ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যবিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও অনেকেই সেই নিয়ম মানছেন না। এতে করোনা ঝুঁকি নিয়ে জনমনে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।ভোলা নিউজের প্রকাশক সম্পাদক ও মানবজমিন জেলা প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম   জানান, ভোলার বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখেছি মানুষজন ঘোরাফেরা করছে তারা কোনো শারীরিক দূরত্ব মানে না, যে যার মত বেরিয়ে পড়ে। সোয়েব বলেন, মানুষের এমন সমাগম চলতে থাকলে দিন দিন সংক্রমণ বাড়তে থাকবে। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কর্মজীবী-শ্রমজীবী সবার মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।শরিফ বলেন, ভোলাতে যেভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে তাতে সবার উচিত বাড়িতে অবস্থান করা, মার্কেট প্লেসগুলোতে যদি মানুষ জড়ো হয়ে থাকে তাহলে সংক্রমণ আরো বাড়বে। ক্রীড়া সংস্থা সম্পাদক  ইয়ারুল আলম লিটন বলেন, ভোলাকে করোনা থেকে রক্ষা করতে হলে প্রশাসনসহ সচেতন মহলকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং বিশেষ করে গ্রাম-গঞ্জে বেশি নজর দিতে হবে এবং ব্যাপক প্রচারণা চালানো  দরকার। প্রভাষক আনোয়ার স্যার বলেন, শহরের মানুষ কিছুটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে কিন্তু গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করে না। তারা একত্রে একস্থানে আড্ডা দিচ্ছে, চায়ের দোকানে এক কাপে ২/৩ জন চা খাচ্ছে, কেউ মাস্ক পড়ছে না। তারা মনে করে করোনা কোনো বিষয় না, তাদের সচেতন করা জরুরি।
এদিকে শহর ও গ্রামের মানুষকে করোনা বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করছে পুলিশ ও নৌ বাহিনী।এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, ভোলাতে করোনা ভাইরাস অনেক বেড়ে গেছে। তাই আমরা ৪৩টি পয়েন্ট রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত করেছি, যেকোনো সসময় ওই সব পয়েন্ট লকডাউন হতে পারে। আমরা প্রত্যশা করছি, খুব শিগগিরই করনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

SHARE