আপন আলোয় উজ্জ্বল ভোলার কৃতিসন্তান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন

 

 

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

দ্বীপজেলা ভোলার কৃতিসন্তান মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।উজ্জ্বল, দ্যুতিমান আলোর ভিতরের হাজারো সার্কিটের মধ্যে তিনি উজ্জ্বলতম। তাঁর দক্ষতা, বিবেচনাবোধ ও জটিল বিষয় থেকে সহজ সমাধান বের করার দৃঢ় মানসিকতার গুণে কর্মক্ষেত্রে তিনি এগিয়ে গেছেন বহুদূর। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। প্রচার, ফটোসেশন ও অনাবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা এড়িয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখা এই কর্মকর্তার নিরবিচ্ছিন্ন সেবা ও তদারকিতে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বাহিনীও দক্ষতা ও সৃমদ্ধে অন্যান্য জেলার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে।

মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদানের আগে থেকেই ন্যায়, নিষ্ঠা, সততার গুণে গুণান্বিত এ কর্মকর্তা কঠিন সব কেইসের সমাধানের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন একাধিক বিশেষ সম্মাননা। আপন আলোয় উজ্জ্বল এ কর্মকর্তা কমপ্লিটেড ক্লুলেস মামলার তড়িৎ সমাধানসহ যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অপরাধের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করেছেন। পুলিশ প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড যথাযথ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা এবং বাহিনীর সদস্যদের প্রতি তাঁর আন্তরিকতায় জেলার পুলিশ বাহিনীর মাঝেও তিনি আজ অনুকরণীয় ও অনুসরনীয় হয়ে উঠেছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫তম ব্যাচের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন গত বছরের ৮ অক্টোবর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যোগদান করেন। পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পাওয়া এই কর্মকর্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত একাধিক আলোচিত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছেন। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করার স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিক ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘর এলাকায় গত ২ ফেব্রুয়ারি মা কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাচার হাতে খুন হওয়া শিশু হালিমা আক্তার হত্যা মামলা, পরকীয়ার জেরে গত ১৪ মার্চ খুন হওয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামের ডেকোরেটর কর্মী জুয়েল মিয়া (২৬) হত্যাকান্ড, আশুগঞ্জে লুড়ু খেলার টাকা নিয়ে বন্ধুদের হাতে ট্রাক হেলপার সবুর (২০), বিজয়নগরে পাওনা টাকার জন্য এক বৃদ্ধাকে হত্যা মামলা। স্বল্প সময়ে এসব মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে দেশজুড়ে আলোচনায়ও আসেন মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

এসব মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্লুলেস ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন খুবই কঠিন। এসব মামলার কোন স্বাক্ষী কিংবা প্রত্যক্ষদর্শী থাকে না। একেবারেই কমপ্লিটেড ক্লুলেস। তাঁন সহযোগিতা, দিক-নির্দেশনা ও জটিল বিষয় থেকে সহজ সূত্র ধরে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন করেছেন। এছাড়া অপরাধের ধরণ বুঝে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারেও সমসাময়িক কর্মকর্তাদের তুলনায় তিনি অতুলনীয়। প্রয়োজনবোধে সফিসটিকেডেট সফট্ওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে তিনি অন্যমাত্রা দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচারের আলোয় নিজেকে না রেখে নিরবিচ্ছিন্ন তদারকি করে চলেছেন তিনি। তাঁর কঠোর তদারকিতেই আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ বাহিনীও দক্ষতা ও সৃমদ্ধে অন্যান্য জেলার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে। জেলার শীর্ষ পুলিশের দিক-নির্দেশনাগুলো সুশৃঙ্খল ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি। ফলে আজ জেলার প্রতিটি থানাতেই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে এবং এটা বাধ্যতামূলকও। এতে পুলিশী সেবা জনগণের আরো কাছাকাছি নিয়ে গেছেন। তাঁর নিরলস তদারকিতে জেলার আইন-শৃঙ্খলা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় সাম্প্রতিককালে অনেকটাই ভাল। তাঁর কর্মদক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা, প্রতিটি সমস্যাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অপরাধ দমন ও ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের ক্ষমতার গুণে গুণান্বিত এই আইটি বিশেষজ্ঞ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর হৃদয়ে থেকে যাবেন অনেকদিন।এই ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান- পেশাগত দায়িত্ব থেকে প্রতিনিয়িত কাজ করে যাচ্ছি। সবার সহযোগিতা নিয়ে সেই দায়িত্ব পালনে আরও সচেষ্ট থাকব। তিনি সবার নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

SHARE