ঘূর্ণীঝড় আম্ফান মোকাবেলায় মনপুরায় ৭৪ টি ভবন প্রস্তুত

 

সোহান সোহাগ মনপুরা প্রতিনিধি॥

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ঘূর্ণীঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সিপিপি’র পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্তক করতে দিন-রাত চালাচ্ছে প্রচারণা। এদিকে মনপুরা থেকে বিচ্ছিন্ন কলাতলীরচর, ঢালচর, চরনিজাম ও চরশামসুদ্দিনের বাসিন্দারা রয়েছে চরম ঝূকির মধ্যে।
ওই সমস্ত বিচ্ছিন্ন চরে প্রায় ২০ হাজারের উপরে মানুষ বসবাস করে। সেখানে পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই বলে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে চরে বসবাসরত বাসিন্দারা। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চরের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছেন জানিয়েছেন ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস।
— —
এছাড়াও মূল-ভূখন্ডের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাইমারী ও মাধ্যমিক স্কুল ভবন, রেডক্রিসেন্ট ও কারিতাসের আশ্রয়কেন্দ্র, উপজেলার পরিষদের বিভিন্ন ভবনসহ ৭৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছ উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থপনা কমিটির সদস্য সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস।
এদিকে উপজেলার সিপিপির ৮২৫ স্বোচ্ছাসেবী কর্মী স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ও দূর্যোগ পরবর্তী সহযোগিতায় জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা সিপিপি’র টিম লিডার এরফান উল্লা চৌধুরী অনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্কুলের ভবন পরিস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও সিপিপি’র পক্ষ থেকে উপজেলার সর্বত্র বাসিন্দাদের সর্তক অবস্থানে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। তবে উপজেলার সর্বত্র রৌদ্রউজ্জল আবহাওয়া। মেঘনার পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়েছে। চরের বসবাসরত মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা নেওযা হচ্ছে। উপজেলা কন্ট্রোলরুম খোলা সহ ৭৪ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভোলার বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ উপজেলাটি তিনদিকে মেঘনা ও একদিকে বঙ্গপোসাগর বেষ্ঠিত থাকায় যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ এই দ্বীপটির উপর আঘাত হানে, ক্ষয়-ক্ষতি হয় বেশি। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয় ৭০ এর বন্যায়। বন্যার ৭ দিন পর দেড়তলা লঞ্চ নিয়ে বঙ্গবন্ধু মনপুরায় এসেছিলেন ত্রান দিতে। এরপর ৯১ এর ঘূণীঝড়, সিডর, আইলা, মহাসেন, নার্গিস ক্ষতি হয় উপকূলে দ্বীপটিতে।

SHARE