ভোলার দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্নিঝড় আম্পান, ৭ নং বিপদ সংকেত

মোঃ আরিয়ান আরিফ।।

বুধবার ভোলায় আঁছড়ে পরবে ঘূর্নিঝড় আম্পান। ৫ থেকে ৭ ফিট জলোচ্ছাসের সম্ভাবনা। ভোলায় ৭ নাম্বার বিপদ সংকেত। জেলা প্রশাসকের জরুরী বৈঠক।

‘আম্পান’ ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের ভোলা উপকূলের দিকে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ শক্তি বাড়িয়ে ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে।

এর প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার সৈকত এলাকাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে, তখন এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে উপকূলে পৌঁছনোর আগে সামান্য কমে আসতে পারে এর শক্তি।

বুধবার (২০ মে) বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আম্ফান পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝামাঝি এলাকা অথাৎ ভোলা জেলার উপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

অবশ্য বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা, মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে এগিয়ে এসে সোমবার সকাল ৬টায় ‘আম্পান’ অবস্থান করছিল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায়।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ‘সোমবার সকাল থেকে গভীর নিম্নচাপটি দক্ষিণ–পূর্ব ও দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল।

এ সময় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ১ হাজার ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

এমন অবস্থায় পূর্ব সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার সৈকত এলাকাকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে থাকতে  বলা হয়েছে।

এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসক জরুরী বৈঠক করেছেন। প্রস্তুত রেখেছেন সকল সাইক্লোন সেল্টার। সতর্ক রয়েছেন সকল সেচ্ছাসেবক সংঘঠন।

SHARE