ভোলায় ভার্চুয়াল কোর্টে সর্বাধিক জামিনের দরখাস্থ নিষ্পত্তি

ইমরান মুন্নাঃ
ভোলায় ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানী শুরু হয়েছে। এতে সর্বাধিক ৮২ টি মামলার জামিনের দরখাস্থ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট চালু হওয়ায় বিচার  প্রার্থীদের মাঝে স্বস্থির নিশ্বাস নেমে এসেছে।  গতকাল ১২ মে অনলাইনে জামিনের আবেদন নিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ ডক্টর এ বি এম মাহমুদুল হক ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোঃ সানাউল হক।  ১২মে মেইলে পাঠানো আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল জামিনের শুনানীর জন্য ১৩ মে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ে কোর্ট থেকে এ্যাপস এর মাধ্যমে মামলার নিযুক্ত আইনজীবীর সাথে অনলাইনে যুক্ত হয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ ডঃ এবিএম মাহমুদুল হক ও ভোলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফরিদ আলম ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান মাহমুদ মিলন। এ সময় জেলা জজের সাথে উপস্থিত ছিলেন পিপি আশরাফ হোসেন লাভু।
বেশ কয়েক দিন ধরে ভোলার বিচার প্রার্থীদের বিচার নিশ্চিতের জন্য এ নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ ডঃ এবিএম মাহমুদুল হক,  চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মোঃ সানাউল হক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফরিদ আলম।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, আজ ভার্চুয়াল কোর্টে সর্বাধিক মামলার শুনানি হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজে সর্বমোট ২২ টি মামলার জামিন শুনানী হয়েছে এর মধ্যে ২৯ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ভার্চুয়াল কোর্ট-১ এ ৩১ টি মামলার জামিন শুনানি হয়েছে তার মধ্যে ১৯ জন জামিন পেয়েছেন।  ভার্চুয়াল কোর্ট -২ এ ২৩ টি মামলার জামিন শুনানি হয়েছে এতে ২৩ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন । চরফ্যশন কোর্টে সর্বমোট ১০টি মামলার জামিন শুননানী হয়েছে এর মধ্যে ৮ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ।
ভার্চুয়াল কোর্ট নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে ভোলার আদালত পাড়ায়। বিচার পার্থীদের অভিবাবকরা অনেকদিন পরে কোর্টে কাজ শুরু হওয়ায় জেলা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সাথে নতুন নিয়মে কোর্টের জটিলতা  নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীরা প্রথমে হতাশা প্রকাশ করলেও কোর্ট শুরু হওয়ার সাথে সাথে জেলা জজ হাতে কলমে সকল নিয়ম গুলো বুঝিয়ে দেয়ায় সিনিয়র আইনজীবীরাও ভার্চুয়াল কোর্টে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ছবি- মোঃ নাজিম উদ্দিন
SHARE