করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশ

 

মোঃ আশরাফুল আলমঃ-
করোনা ভাইরাসের ওষুধ উৎপাদনের (ভ্যাকসিন ট্রায়াল) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রাথমিকভাবে এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বাংলাদেশের হয়ে যুক্ত থাকবে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে ঔষধ প্রশাসন।
ঔষধ প্রশাসনের দেয়া তথ্য মতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাজ্য ও চীনের সঙ্গেই কাজ করবে বাংলাদেশ। বিশ্ব মহামারির এই সময়ে এমন গবেষণার অংশ হওয়া বাংলাদেশকে করোনা মোকাবিলায় একধাপ এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন দেশের বিশেষজ্ঞরা।
প্রায় ৪ মাস ধরে পৃথিবীব্যাপী তাণ্ডব চালানো করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এখনও পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ফলে কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, সামাজিক দূরত্বই গুরুত্ব পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
তবে বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিনের অগ্রগতি আশার আলো দেখাচ্ছে। এরই মধ্যে ট্রায়ালে যুক্তরাজ্য, পাশাপাশি এগিয়ে চলছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জার্মানি। আছে আষ্ট্রেলিয়াও। এমন বাস্তবতায় এ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিল বাংলাদেশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়াল দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করা গেলে ভবিষ্যতে ভালো ফল আসবে। বাংলাদেশের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের উদ্যোগ নেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তারা। বলছেন, এতে করে কোভিড নাইন্টিন মোকাবিলায় একধাপ এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাকের উল্লাহ বলেন, ‘যারা এ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে যাচ্ছে তাদের অবশ্যই ফান্ডের দরকার। আমি জানি এই ফান্ড ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনগুলো দেবে। যদি কোনো জনগোষ্ঠী এ ট্রায়াল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে প্রস্তুতি যেন থাকে।’
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘গবেষণায় যুক্ত হওয়া এ টিম নির্বাচনে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে বাংলাদেশকে। কাজ করতে হবে ভবিষ্যতে করোনা মোকাবিলায় ঘনবসতির বাংলাদেশকে ভেবেচিন্তে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বেনজীর আহমেদ বলেন, আইইডিসিআর এর পাশাপাশি অন্যান্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে তাদের কাজে লাগালে পরিধি বাড়বে। পরবর্তীতে সরকার টিকাদান করতে চাইলে তখন কাজে লাগবে।

SHARE